গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত মানসিক ভারসাম্যহীন আসামি ফেরদৌস আলমকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত রবিবার গাইবান্ধার চীফ জুডিশিয়াল বিচারকের আদালতে আসামিকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কমল মোহন চাকী । শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে আসামিকে থানা হাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে গত ২৪ আগষ্ট দিবাগত রাতে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা গ্রামের ইন্দ্রারপাড় নামক স্থানে পাশাপাশি দুইটি মন্দিরের ৪ টি প্রতিমার মাথা ভেঙ্গে ফেলে অগ্নিসংযোগ করে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি। মন্ডপের ভিতরে থাকা দেবতা ও দেবতার বাহনসহ মূর্তির ভিতরে থাকা খড়কুটা আগুন দিয়ে পুড়ে দেয় এবং মন্ডপের ভিতরে থাকা ডালা, কুলা, চালুন, সঙ, কাশি, ঘন্টসহ অন্যান্য উপকরণ নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই মন্দির কমিটির লোকজন গিয়ে পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এঘটনায় পরদিন মন্দিরের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
গত শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের নতুন বাজার থেকে ফেরদৌস আলমকে প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেন। ফেরদৌস ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত ধোপাডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামির স্বীকার উক্তি মোতাবেক জানা গেছে, সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে ফেরদৌসের কথাবার্তায় মনে হয়েছে সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন