ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এসেই সবার মন জয় করে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। বিপিএলে নিজেদের অভিষেক আসরে শিরোপা জেতায় এখন ফুটবলাঙ্গনে সবার মুখেই একই নাম বসুন্ধরা। বৃহস্পতিবার নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের ২২তম ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নবাগত দলটি। এই ড্র’তে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বিপিএল শিরোপা নিশ্চিত হয় তাদের। অভিষেকেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উৎসবে ভাসছে বসুন্ধরা কিংস। ঐতিহাসিক অর্জনের আনন্দ উদযাপনে এখন ব্যস্ত ঘরোয়া ফুটবলের নতুন পরাশক্তির ফুটবলাররা। তাদের উদযাপন আরো চলবে। দেশ ছাড়িয়ে এই উদযাপন বিদেশেও পাড়ি দেবে বলে জানা গেছে। নতুন চ্যাম্পিয়নদের ফুটবলাররা সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে পাচ্ছেন ইউরোপ সফর।
শুক্রবার বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান জানান, লিগে তাদের এখনো দু’টো ম্যাচ বাকি আছে। শেষ ম্যাচ ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। ওই ম্যাচের পরই বড় ধরনের শিরোপা উৎসব করতে চায় স্বাধীনতা কাপ ও বিপিএলের চ্যাম্পিয়নরা। ইমরুল হাসান বলেন,‘শেষ ম্যাচে আমাদের চেষ্টা থাকবে বেশি সমর্থক স্টেডিয়ামে হাজির করা। র্যালিসহ নানা আয়োজনও করতে চাই আমরা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে কথা বলবো। তারা অনুমতি দিলে আমরা শেষ ম্যাচের পর স্টেডিয়ামে আতশবাজির ব্যবস্থা করবো।’
চ্যাম্পিয়ন দলের সভাপতি মতে, বসুন্ধরার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ফুটবলারদের। তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরস্কার হিসেবে পুরো দলকে নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপ সফরে যাওয়ার। ঈদের পরই দল নিয়ে সুইজারল্যান্ড বা তুরস্কের একটি দেশে আনন্দভ্রমনে যাবেন বসুন্ধরা কর্তারা। সেখানে ফুটবলাররা সাত থেকে দশ দিন শুধু আনন্দ করবেন।
এবারের মৌসুমের তিন ট্রফির মধ্যে দু’টিই ঠাঁই পেয়েছে বসুন্ধরার শোকেশে। একটিতে রানার্সআপ তারা। এমন সাফল্যে উৎসবে গা ভাসিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পরের মৌসুমের দল গোছানোর কাজও সেরে ফেলছে বসুন্ধরা। আগামী মৌসুমকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দলের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন এবং মাঠের মধ্যমনি রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকা জাতীয় দলের তারকা ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছে নতুন চ্যাম্পিয়নরা। দল গোছানো সম্পর্কে বসুন্ধরার সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন,‘ আগামী মৌসুমেও আমরা স্থানীয় ফুটবলারদের বেশিরভাই রেখে দেবো। কারণ, তারাই কষ্ট করে আমাদের দু’টো ট্রফি এনে দিয়েছে। তারপরও দলে কিছু পরিবর্তন আসবে। যে সব স্থানে কোচের আরো ভালোমানের খেলোয়াড়ের চাহিদা আছে, সেসব পজিশনে আমরা নতুন খেলোয়াড় আনবো। আর বিদেশিদের মধ্যে কলিন্দ্রেস ছাড়া বাকিদের নিয়ে আমাদের আলাদা চিন্তাভাবনা আছে। কারণ, আমরা রাশিয়া অঞ্চলের ফুটবলার খুঁজছি। অস্ট্রেলিয়া থেকেও খেলোয়াড় আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে বসুন্ধরা আগামী এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ প্রসঙ্গে ক্লাব সভাপতি’র কথা,‘এএফসি কাপকে আমরা ক্লাব প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখবো না। এখানে দেশের সম্মান জড়িয়ে আছে। এএফসি কাপে আমরা ভালো করে বাংলাদেশের ফুটবলের সম্মান বাড়াতে চাই।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন