প্রশ্ন : আমরা জানি যে, ঋণ দেওয়া নেওয়া হালাল। আমরা আজকাল ব্যাংক থেকে ঋণ নেই। ঋণ নেই বলেই দারিদ্র্যের অভিশাপ অনেকটা কমছে। এখন ব্যাংক যদি ঋণের বিনিময়ে কিছু অতিরিক্ত আয় করতে না পারে তবে তারা ব্যাংক পরিচালনা কিভাবে করবে এবং মানুষের অর্থের নিরাপত্তা কিভাবে দিবে। ব্যাংক সুদের প্রতিষ্ঠান। তাহলে আমরা কি ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবো না?
আরাফাত, ইমেইল থেকে
উত্তর : ব্যাংক থেকেও কোনো যুক্তিতেই ঋণ নিয়ে সুদ দেওয়া জায়েজ হবে না। ব্যাংক কিভাবে চলবে এর জবাব হলো, ব্যাংক ব্যবসা করে চলবে। সুদ নিয়ে নয়। কারণ, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন, আর সুদকে হারাম করেছেন। ব্যাংকের মালিক ও কর্তৃপক্ষ যদি গ্রাহকদের সাথে হালাল ব্যবসা ও বিনিয়োগ করেন, তাহলে এর লাভ থেকে তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় ও মুনাফা আসবে। গ্রাহকও হালাল উপায়ে লাভবান হবে। আপনি ব্যাংককে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না বলে, বলেছেন সুদের প্রতিষ্ঠান। সুতরাং সুদী ব্যাংককে সুদ ছেড়ে ব্যবসা বা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে হবে। আর সুদী পদ্ধতিতে দারিদ্র্য দূর হয় না। দারিদ্র্য দূরের নামে সুদী ব্যবস্থা উপস্থিত কিছু সুবিধা দেখায় বটে, কিন্তু পরিণাম চিন্তায় কিছু লোকের হাতে সব সম্পদ কুক্ষিগত করে দেয়। আর লাখো মানুষের টাকা শুষে নিয়ে কয়েকজন গ্রাহককে বিপুল সম্পদশালী বানায় আর ব্যাংকওয়ালারা টাকার পাহাড় গড়ে তুলে। মানুষ ভাবে দারিদ্র্য দূর হচ্ছে। ইসলামের পদ্ধতি এমন নয়। ইসলাম ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আর্থ সামাজিক সেবা, সম্পদের সুষম বণ্টন ও সকলের কল্যানে বিশ্বাসী।
প্রশ্ন : নামাজরত অবস্থায় যদি কারো পিছনের রাস্তা দিয়ে বায়ু বের হয়ে যায়, আর যদি সে সংকোচ করে নামাজ থেকে বের না হয়ে ওই অবস্থাতেই রুকু সিজদা করে নামাজ শেষ করে, তাহলে কি সে কাফির হয়ে যাবে ?
সুজন মাহমুদ,
ইমেইল থেকে
-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন