কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করার জন্য দাবিতে আগামী সেপ্টেম্বরে ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এজেড এম. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই। স্বৈরাচার বিদায় চাই, গণতন্ত্রের মুক্তি চাই। এক্ষেত্রে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। এ আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন। ডা: জাহিদ আরো বলেন, ঢাকা থেকে আর কোন কমিটি হবে না। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ১৩টি ভাগে সারা দেশে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড মনিটরিং হচ্ছে। তিনি নিজে নিয়মিত দলের সকল পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে দলীয় কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছেন। সে লক্ষ্যে আমাদের টার্গেট আগামী সেপ্টেম্বরে ময়মনসিংহে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করা। ওই সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। ইতিমধ্যে বিভাগীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েটি উপ-কমিটিও গঠন করা হবে।
শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর দক্ষিণ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বিএনপির এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আশা করছি দেশের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী পুলিশ প্রশাসন কারো পক্ষে কাজ না করে নিরপেক্ষ আচরণ করবেন। ইনশাল্লাহ এ বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমেই জনগণকে সম্পৃক্ত করেই বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে আরো বেগবান করা হবে।
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রানা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর মাহমুদ আলমের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য খুররুম খান চৌধুরী, ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন, নূরজাহান ইয়াসমীন, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শামীম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, নেত্রকোনা বিএনপির আহবায়ক ডা: আনোয়ারুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল আলম হিলালী, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ডা: মাহমুদুল হক রুবেল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আউয়াল চৌধুরী, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, আবুল বাসার আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু, এবি সিদ্দিকুর রহমান, বিএনপি নেতা শঅহ শিব্বির আহম্মেদ ভুলু, জাকারিয়া হারুন, হেলাল আহম্মেদ, মাহাবুর রহমান মাহাবুব, শেখ আজিজ, লিটন আকন্দ, কায়কোবাদ মামুন, রতন আকন্দ, এম.এ হান্নান খান, মাসুদ তানভীর তান্না, শামীম আজাদ, জাসাস নেতা শরীফ মাহমুদুল হক সঞ্চয়, শ্রমিক দল নেতা মফিদুল ইসলাম মোহন, যুবদল নেতা রুকনুজ্জামান সরকার রুকন, মোজাম্মেল হক টুটু, শামছুল হক শামছু, দিদারুল ইসলাম রাজু, জোবায়ের হোসেন শাকিল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শহীদুল আমীন খসরু, তানভীরুল ইসলাম টুটুল, রিপন তালুকদার, আমিনুল ইসলাম ফয়সাল, আলী আকবর আনিস, ছাত্রদল নেতা মাহাবুবুর রহমান রানা, আবু সাঈদ রায়হান, নাইমুল করিম, তানভীর আহমেদ রবিন, নিশাদ সালমান ডুনন, রায়হান শরীফ হলুদ, কৃষক দল নেতা সাদেকুর রহমান, মাসুদ তালুকদার, তাঁতীদল নেতা নাজিম খান, জামাল উদ্দিন, মহিলা দল নেত্রী অধ্যাপিকা রায়হানা ফারুক, ফরিদা পারভীন, খালেদা আতিক, ওলামাদল নেতা মাওলানা আরিফ রব্বানী প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন