মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মেসি? রোনালদো? নাকি ফন ডিক?

কে হচ্ছেন উয়েফা বর্ষসেরা?

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ৭:১০ পিএম

কে হচ্ছেন ২০১৮-১৯ মৌসুমের উয়েফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার? এবারও কি লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দর্শক হয়েই থাকবেন? দীর্ঘ সময় পর কি কোনো ডিফেন্ডার হিসেবে ভার্গিল ফন ডিকের হাতে উঠতে যাচ্ছে এই পুরস্কার? সব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে আগামীকাল রাতেই।

ফ্রান্সের মোনাকোয় ২০১৯/২০ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমের মূল পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হবে বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম। এই তিনজন ছাড়াও উয়েফা বর্ষসেরা হওয়ার সম্ভব্য তালিকায় রয়েছেন আরো সাত জন, এর মধ্যে বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল দল থেকে আছেন আরও তিনজন- ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসন বেকার, সেনেগাল স্ট্রাইকার সাদিও মানে ও মিশরীয় তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মাদ সালাহ। গত আসরে সেমিফাইনালে ওঠা ডাচ ক্লাব আয়াক্স থেকে আছেন মাতাইজি ডি লিট ও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াং। এছাড়া এই তালিকায় আছেন চেলসির হয়ে উয়েফা ইউরোপা লিগ জয়ী ফরোয়ার্ড এডেন হ্যাজার্ড ও প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ স্ট্রাইকার রাহিম স্টার্লিং। তবে আসল লড়াইটা হবে মেসি, রোনালদো আর ফন ডিকের মধ্যেই।

গত বছর মেসি-রোনালদোর আধিপত্যে আঘাত হানেন ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নেয়া লুকা মদরিচ। এবার মদরিচের জায়গায় দেখা যেতে পারে ফন ডিককে। লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন এই ডাচ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। গত মৌসুমে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতেন মেসি। ভন ডিক হন প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা।

 

অব্যাহত আছে দুই চিরপ্রতিদ্বদ্বীর লড়াই

গত এক দশকে সেরার প্রশ্নে সবচেয়ে বেশিবার এসেছে মেসি ও রোনালদোর নাম। ২০১১ সাল থেকে বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের এই পুরস্কার দিয়ে আসছে উয়েফা। এর মধ্যে রোনালদো জিতেছেন তিন বার (২০১৪, ২০১৬ ও ১০১৭) আর মেসির হাতে উঠেছে দুই বার (২০১১ ও ২০১৫)। দুর্দান্ত মৌসুম কাটানোর পর আবারও তারা উঠে এসেছেন বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায়। দু’জনই নিজ নিজ ক্লাবকে ঘরোয়া লিগ শিরোপা জিততে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। তবে পরিসংখ্যান বলছে, গত মৌসুমটা রোনালদোর চেয়ে ভালো কেটেছে মেসির।

৩১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩১ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত মূল্যায়ীত ১২ মাসের মধ্যবর্তীয় সময়ে ক্লাব ও দেশের হয়ে ৫৮ ম্যাচে ৫৪ গোল করেছেন মেসি। একই সময়ে ৪৭ ম্যাচে ৩১ গোল করেন রোনালদো। মেসি প্রতি ৮৬ মিনিটে করেছেন একটি করে গোল, রোনালদোর গোল প্রতিটি গোল করেছেন ১২৭ মিনিটে।

ঘরোয়া লিগে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী রবার্ট লেভান্দোভস্কির চেয়ে ১১ গোলে এগিয়ে ৪০ গোল নিয়ে লা লিগা মৌসুম শেষ করেন তিনি। ২১টি লিগ গোল নিয়ে ইতালিয়ান সেরি আ লিগে রোনালদোর সঙ্গে যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন আরও দুই জন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দু’জনেরই বিদায় ঘটে শেষ আট থেকে। আর এখানেই মেসির চেয়ে কিছুটা এগিয়ে ফন ডিক।

 

রক্ষণের নিচ্ছিদ্র প্রহরী

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় ফন ডিককে অন্যদের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে বটে, তবে তার এই এগিয়ে থাকা কেবলই ইউরোপিয়ান শিরোপা জয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গত লিগ মৌসুমে ড্রিবলিং করে তাকে পিছনে ফেলতে পারেননি কেউ-ই! একই পরিসংখ্যান টানা ৪৯টি লিগ ম্যাচের জন্যে প্রযোজ্য। গত শনিবার ফন ডিকের টানা ৫০তম লিগ ম্যাচে এসে তার বিরুদ্ধে ড্রিবলিংয়ে সফল হন আর্সেনালের নতুন তারকা নিকোলাস পেপে। প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটিকে লিভারপুল শেষ ম্যাচ পর্যন্ত চিন্তায় রেখেছিল ফন ডিকের কল্যাণেই। গত লিগ মৌসুমে অন্য যে কোন দলের চেয়ে লিভারপুল যে ২২ গোল কম হজম করেছিল তার নেপথ্যে ছিলেন এই ২৮ বছর বয়সী তারকা। বল দখলের লড়াইয়ে প্রতি ১০০ বারে জিতেছেন ৭৬ বার। ক্লাব ও দেশের হয়ে ৫৯ ম্যাচে অংশ নিয়ে নয় গোলের পাশাপাশি করেছেন চার বার গোলে সহায়তা।

লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গুন ক্লপ মনে করেন কোনো ডিফেন্ডারের হাতে সেরার স্বীকৃতি ওঠার এটাই উৎকৃষ্ট সময়, ‘এই সকল বিষয়ে আধুনিক ফুটবলের আরো এক ধাপ উন্মুক্ত হওয়া উচিত।’ সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ বলেন, ‘আমরা কেবল লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে কথা বলব না। যদি আমরা শেষ মৌসুম নিয়ে কথা বলি ভার্গিল এটার দাবিদার। যদি আমরা পুরো জীবনকালের ক্যারিয়ার বিবেচনা করি সেক্ষেত্রে লড়াইটা মেসি ও রোনালদোর মধ্যে।’ তিনি যোগ করেন, ‘ছোটদের জন্য এটা ভালো হবে যখন তারা দেখবে কেবল ডিফেন্ড করেও তুমি সুপারস্টোর হতে পার।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন