বাউফলে কথিত প্লাস্টিক চাল নিয়ে চলছে তোলপাড়। গত শনিবার বিকালে উপজেলা পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালমা রহমান চাল ভাজতে গিয়ে দেখেন চাল পুড়ে কালো হয়ে জমাট বেঁধে গেছে। পরে ওই গৃহিণীর স্বামী সাবেক কমিশনার জলিলুর রহমান চালের ছবিসহ ভিডিও ফুটেজ ও প্লাস্টিকের চাল লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করলে শুরু হয় তোলপাড়। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ওই ছবি ও ভিডিও।
সাবেক কমিশনার জলিলুর রহমান জানান, চলতি মাসের নয় তারিখে পৌরশহরের এক চাল দোকানির কাছ থেকে ৫০ কেজি ওজনের বস্তা কিনেন। দোকানির ভাষ্যমতে স্বর্ণা নামের ওই চাল তারা গত ক’দিন রান্না করে খেয়েছেন। কিন্তু গত শনিবার তার স্ত্রী শখের বশে ওই চাল ভাজতে গিয়ে দেখেন চালগুলো পুড়ে ধোঁয়া উড়ছে। এক পর্যায়ে চাল পুড়ে কালো হয়ে জমাট বেঁধে যায়। জলিলুর রহমানের ধারণা, চালগুলো প্লাস্টিক জাতীয় কোন কিছু দিয়ে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। শিক্ষিকা সালমা রহমান জানান, ভাজার সময় প্রথমে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলেও ধীরে ধীরে চাল পুড়ে ধোঁয়া উড়তে থাকে। এক পর্যায়ে চাল গলে পুড়ে কালো হয়ে জমাট বেঁধে যায়। আর রান্নার সময় কিছু ভাত দ্রæত গলে যায়।
ফেসবুকে আপলোড করা ছবিতে দেখা যায়, চালের বস্তার গায়ে এক নারীর ছবিসহ লেখা রয়েছে, নুরজাহান ব্রান্ড, সুপার ফাইন রাইস। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির লোগোসমেত বস্তা কিনে তাতে কথিত প্লাস্টিকের চাল বস্তাজাত করে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে তারা কোন রকমের চাল বস্তাজাত করেন তা সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে’র দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে, তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন