পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করলে আকস্মিক বন্যায় কারনে নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর বামতীরের তিনটি স্থানে ধ্বস দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তীরবর্তী মানুষেরা।
গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আকসেদ মোড়ে ৮০ মিটার এবং নুরল্লাপুরে নতুন বাঁধ এলাকায় ১৫০ মিটার এলাকা জুড়ে তীর রক্ষা ব্লক ধ্বসে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে নুরুল্লাপুরে। এই স্থানে ৭৩ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে তীরবর্তী মানুষের।
স্থানীয়রা বলছে, পদ্মা নদীর আকসেদ এর মোড়ে গত তিন বছর আগে ব্লক ধ্বসে গেলেও আজ পর্যন্ত মেরামত করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবারের বন্যায় নতুন করে আবারো বেশ কিছু অংশ নদীতে ধ্বসে গেছে। এতে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে তীর সংরক্ষণের ব্লক ধ্বসে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ এছাড়ও নুরুল্লাপুরের দুটি স্থানে নতুন করে বাঁধ ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ৭৩মিটার মাটির বাঁধ ভাঙ্গা শুরু হলেও এবার ভাঙ্গনের বেশি ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। বাঁধের ছোট বড় গাছ বিলিন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। এছাড়া দুইদিনে আকছেদ মোড়ে বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার ধ্বসে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ বছর ধরে পদ্মা নদীর ঢেউ থেকে বাঁচানোর জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বারবার স্থানীয় এমপি, উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি যে কোন সময় বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে যেতে পারে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আল আসাদ জানান, সম্প্রতি পদ্মা নদীর তিনটি ভাঙন এলাকায় পরিদর্শন করেছি, আকসেদের মোড়ে ব্লক ধ্বসে যাওয়া ঠেকাতে ২৫০বস্তা জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এছাড়া নুরুল্লাহপুরে পদ্মা পানি নেমে গেলে নতুন করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। সামনে মৌসুমের আগেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন র্বোড কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন