রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্কুলছাত্রী তাসনিম হত্যা মামলা

১৫ দিনেও উদঘাটিত হয়নি মৃত্যুর রহস্য

মো. শামসুল আলম খান : | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম


ময়মনসিংহে মুক্তাগাছা উপজেলার আর.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী উমামা তাসনিমের রহস্যজনক মৃত্যুর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ। তবে মামলার বাদির দাবি গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে স্কুলছাত্রী তাসনিমকে। ফলে রহস্যজনক এ স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় ও সচেতন মহলে।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুক্তাগাছা থানার সহকারী পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, তদন্ত কার্যক্রম যথাযথ ভাবেই চলছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি নিহতের সৎ মা দিলরুবা বিউটি এবং পিতা রবিউল আলমকে ইতিমধ্যে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের দোষ স্বীকার করেনি বা কোন তথ্য দেয়নি। তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মামলার বাদী নিহতের মামা অ্যাডভোকেট ড. মু. রেজাউল হক রেজা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন ১২ অক্টোবর ছিল উমামা তাসনিমের মা তাসলিমা আক্তারের মৃত্যু বার্ষিকী। মায়ের মৃত্যুর দিনে মন খারাপ থাকায় গৃহস্থালীর কাজে অমনোযোগী ছিল তাসনিম।
নিহতের মামা আরো জানায়, স্কুল শিক্ষক বাবা রবিউল আলম ও সৎ মা দিলরুবা বিউটির দুই সন্তানের সঙ্গে একই বাসায় থাকতেন মাতৃহীনা স্কুলছাত্রী তাসনিম। নিহত তাসনিমের মা তাসলিমা আক্তার অসুস্থ হয়ে মারা যাবার পর দিলরুবা বিউটির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পিতা রবিউল আলম। বিয়ের পর থেকেই সৎ মায়ের সংসারে নানাভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন শিশু তাসনিম। মামা-খালারা বেশ কয়েকবার নিজেদের কাছে নিয়ে যান তাসনিমকে। কিন্তু তাসনিমের সৎ মা গৃহস্থালি কাজ করানোর জন্য বাবা রবিউল আলমের মাধ্যমে বার বার তাসনিমকে নিয়ে আসতেন নিজের বাসায়। এনিয়ে তাসনিমের মামা খালাদের সাথে রবিউল ও বিউটির কয়েক দফা সামাজিক শালিস দরবারও হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থী তাসনিম হত্যার বিচার দাবী করে মুক্তাগাছা থানা তাঁতী লীগ, আর.কে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন করেছেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উম্মোচিত হবে এমনটিই প্রত্যাশা করেন সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর। ঘটনাটি আমাদের সকলকে আহত করেছে। ফলে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের সকল স্তরেই স্বচ্ছতা আছে। তবে যেহেতু ব্যাপারটি তদন্তাধীন আছে, তাই এবিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন