সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. শাহজাহান প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, রবিবার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হোটেল পলাশে অনুষ্ঠিত হওয়া এ সভায় যোগদান শেষে বের হওয়ার পর শাহজাহানের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ৭-৮ জন হামলাকারি ছুরি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রবিবার রাতে ওসমানী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওসমানী হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে এবং কারা শাহজাহানের উপর হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে মো. শাহজানকে দেখতে সিলেট এম. এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। রোববার রাতে ওসমানী মেডিকেলে যান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মফিজুর রহমান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, মহানগর স্বেচাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মখলিছুর রহমান, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বেলাল, আনছার মিয়া মহালদার, আলতাব হোসেন, মুক্তি মিয়া, মোশাহিদ আলী, আব্দুর রহমান, মোশাহিদ আলী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আজাদুর রহমান সামাদ, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এইচ এম মালিক ইমন,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আনোয়ারুল হক, প্রমুখ। এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক মো. শাহজাহান এর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল এলাকায় তাৎক্ষণিক এই মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন