শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ময়মনসিংহে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের নির্মানাধীন ভবনে সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুর : নির্মাণ কাজ বন্ধ

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩৬ পিএম | আপডেট : ৮:১৮ পিএম, ২৮ আগস্ট, ২০২১

ময়মনসিংহ নগরীর আর.কে মিশন রোড এলাকায় সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন ভবনে সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) রাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইব্রাহীম খান নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত ৪দিন ধরে নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
মামলার আসামিরা হলেন- পারভেজ ওরফে সুন্দর(৩৮), কালা পারভেজ(৩৫), শান্ত(৩৬) ও রিফাত(৩৪)।
অভিযোগ উঠেছে, হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রকল্পের কয়েক লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
পরে বিষয়টি লিখিত তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীকে লিখিত ভাবে জানালে কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মামলা করার নির্দেশ দেয়।
সরজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জেলা অফিসের নির্মাণ কাজ চলছে। বিগত ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে স্টারলাইট এম. রহমান জেবি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটির কার্যদাস পায়। এরপর সুষ্ঠভাবে নির্মাণ কাজ চলছিল। তবে করোনার কারণে কাজটি মাঝপথে স্থগিত হয়ে গেলে চলতি বছরের গত জুন মাসে পুনরায় কাজ শুরু হয়। গত ২৫ আগষ্ট রাত ৮ টার দিকে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্মাণাধীন ভাবনের গেইট দিয়ে প্রবেশ করে গার্টকে মারাতœক ভাবে মারধর করে আহত করে। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর থেকে নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে।
বাদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ইব্রাহিম খান জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবিতে এ হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ফের হামলার ভয় আতঙ্কে প্রকল্পে প্রায় ৮০জন শ্রমিক কাজে যোগদান করছে না।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল জামান চুন্নু বলেন, বর্তমানে কোন সমস্যা নেই, কাজ চলছে।
তবে তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান বলেন, ইতিপূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। তাই এবার সংশ্লিষ্টদের মামলা করতে বলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে অভিযোগ তদন্ত করছেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই নিরুপম। তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন