সোনাগাজী উপজেলার ০৬ নং চর ছান্দিয়া ইউনিয়নের চান্দিয়া গ্রামে (আজ) শুক্রবার সকালে সন্ত্রাসী হামলায় দুধের শিশু সহ তিন নারীকে গুরুতর আহত করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, চর চান্দিয়া গ্রামের মোঃ মোস্তফা (জসিম আমিন) নিজ বাড়ীতে কিছু সম্পত্তি খরিদ করে ভোগ দখলে আছেন। প্রভাবশালী জাহিদুল হক সহ আবদুল হালিমের একটি চক্র জসিম আমিনের খরিদা সম্পত্তি জবর দখলের পাঁয়তারা করে। ওই বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিশ দরবার বসে । কিন্তু আসামীরা শালিশ-দরবার কিছুই মানে না।
১৬ অক্টোবর শুক্রবার সকালে জসিম আমিন তার খরিদা মালিকী নিজের উঠানের অন্তর্গত সম্পত্তির মধ্যে রান্নাঘর তৈরীর কাজ শুরু করলে সকাল ৭.৩০ ঘটিকার সময় সন্ত্রাসী আবদুল হালিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী আবদুল কাইউম, আইউব আলী ও আবু ইউছুপ অতর্কিত হামলা করে। জসিম আমিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম পারুল (৪২), জসিমের মা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫) ও জসিমের দুধের শিশু নাদিয়া (১৮মাস) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর। সন্ত্রাসীরা ফাতেমা বেগম পারুলের গলায় থাকা ৮আনা স্বর্ণের চেইন এবং স্যামসাং স্মার্টফোন ছিনাইয়া নিয়ে যায়। এমনকি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয়ে গেলে জসিম আমিন ও তার পরিবার পরিজনদের হত্যা করে লাশগুম করার হুমকি দেয়। শোর-চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর জখমী অবস্থায় তিনজন কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সোনাগাজী হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর জখমপ্রাপ্ত দুই নারী সহ এক শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ভুক্তভোগী জসিম আমিন জানান- প্রভাবশালী দলিল লিখক জাহিদুল হক সহ সন্ত্রাসীরা কাপুরুষের মতো হামলা করে তিনজন নারীকে হত্যার চেষ্টা করেছে। জসীম আমিন জানান সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে উচিৎ শাস্তি বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ আশা করছি।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত: ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ডাঃ অর্ণব বনিক জানান- আহত তিন জনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান- জসিম আমিনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। তদন্ত করে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযুক্ত আবদুল হালিম জানান- জসিম আমিনের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন