ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃংখলা সভা প- হয়ে গেছে। উভয় পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় পুলিশসহ অন্তত প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সভায় উপস্থিত হওয়ার পুর্বে এমপি অনুসারী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করে।
এমপি ও চেয়ারম্যান উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা পাল্টা হামলা শুরু হয়। আধাঘন্টা সংর্ঘষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় উপজেলা পরিষদের আইনশৃংখলা সভা শুরু হলে এরই মধ্যে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবারো সংর্ঘষ বেঁেধ যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই নাজমুল হোসেন ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান অনুসারী জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক আকবর হোসেন মনির, ছাত্রলীগ নেতা জয়, হাবিব, কাশেম, রিয়াদ, হাসান, সাহেদ সুজন, নাছির কাইয়ুম এবং এমপির অনুসারী পুতুল সরকার, আলাউদ্দিন, আল-আমিন, রায়হান, মোহন মিজি, সৈকত, মিঠুন, নুর আল-আমিন, সাগরসহ অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্রণে আনতে পুলিশ এক পর্যায়ে ৬ রাউ- টিআরসেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউএনও সভা স্থগিত করে দেন।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, উভয় পক্ষ শান্ত করতে পুুলিশ প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ ৬ রাউ- টিআরসেল নিক্ষেপ করে। সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এসে পুরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির কারণে মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃংখলা সভা স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃংখলা কমিটির সদস্য না এমন লোক এবং মাদককারবারী পরিষদে উপস্থিত হওয়ায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
অন্যদিকে সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান জানান, আমি আইনশৃংখলা ও সমন্বয় সভার নিমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হওয়ার পর উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ইউএনওর কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমার সাথে রুঢ় আচরণ করেছে। তার অনুমতি নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসার জন্য বলেছে সে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন