শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্থগিত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক

ঢাকা-দিল্লি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

আকস্মিকভাবে স্থগিত হয়ে গেছে ঢাকা-দিলি­যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক। অভিন্ন ৬টি নদীর ডাটা আপডেট বিষয়ক ২ দিনের ওই বৈঠক গতকাল শুরু হওয়ার কথা ছিল নয়া দিল্লিতে। নদী কমিশনের সদস্য কেএম আনোর হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকের জন্য নতুন একটি তারিখ তারা পরে ঠিক করে নেবেন।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার প্রথম দিনে যৌথ কমিটির এবং দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার কারিগরি কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। গত আগস্টে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদ সচিবদের বৈঠকে তিস্তা ও ফেনীর পাশাপাশি ওই ছয়টি নদীর তথ্য-উপাত্ত হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত হয়। গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সফরের অনুমতি পায়নি। এরপর যৌথ নদী কমিশনের পক্ষ থেকে রাতে জানানো হয়। বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ৩৪ বছর পরে অভিন্ন ৬টি নদীর পানি বন্টন নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এ বৈঠক হওযার কথা ছিল। নদী ৬টি হলো মুহুরি, মনু, ধরলা, খোয়াই, গোমতি এবং দুধকুমার। এর আগে দুটি নদী তিস্তা ও ফেনির পানি বন্টন নিয়ে চুক্তি চ‚ড়ান্ত করা হয় ২০১১ সালে। কিন্তু কোনো চুক্তি ওই সময় স্বাক্ষরিত হয় নি। প্রতি বছর মার্চ মাসে ফেনির পরশুরামে মুহুরি নদী শুকিয়ে খড় খড়া হয়ে যায়। ওই সময় পানির প্রবাহ নেমে দাঁড়ায় মাত্র ৭৫ কিউসেক (ঘনফুট প্রতি সেকেন্ডে)। অন্যদিকে মে মাসে সিলেটে মনু নদীর প্রবাহ কমে দাঁড়ায় মাত্র ২০৫ কিউসেকে। এর কারণ, উজানে ভারত পানি প্রত্যাহার করে নেয়। সাধারণ সময়ে এ নদীতে যে পরিমাণ পানি থাকে এই পরিমাণ তার চেয়ে দশ গুন কম। এই দুটি নদীর মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদী আছে। তবে দুটি দেশের মধ্যে এ বিষয়ে মাত্র একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৯৯৬ সালে। এর আওতায় গঙ্গা নদীতে পানির ভাগাভাগি দেখাশোনা করা হয়।

ঢাকা ও নয়া দিল্লি ওই ৬টি নদীর পানির প্রবাহের ডাটা প্রথম বিনিময় করে ১৯৮৫ সালে। তারপর থেকে উল্লেখিত ওই ৬টি নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করেছে। কিন্তু তারা কোনো ঐকমতে পৌঁছাতে পারেনি।
সর্বশেষ পানি প্রবাহের চার্ট অনুযায়ী, মার্চে খোয়াই নদীর পানি প্রবাহ কমে দাঁড়ায় ৩৭৮ কিউসেকে। গোমতিতে ৫০৭ কিউসেকে। ধরলায় ২২৫৩ কিউসেকে এবং দুধকুমারে ২৫৯১ কিউসেকে। উজানে পানি প্রত্যাহারের ফলে নদীগুলোর এ অবস্থায় হয়। অন্যদিকে বর্ষা মওসুমে নদীগুলোর লেভেল অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। যৌথ নদী কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ পানি পাওয়ার কথা এ বছরের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে খরা মৌসুমে তার চেয়ে ৬৮০০০ কিউসেক পানি কম পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত ৫৪টি নদী আছে। এসব নদীর পানি বন্টন নিয়ে যে বিপত্তি আছে তা সমাধানের জন্য গঠন করা হয়েছিল যৌথ নদী কমিশন। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন