টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে নির্যাতন করে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-শাশুড়ি ও ননাসের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের জাগিরাচালা গ্রামে। এদিকে এক সন্তানের জননী গৃহবধূ সুইটি বেগম (২০) হত্যার বিচারের দাবিতে গত সোমবার বিকেলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। ওই গৃহবধূর বাবা-মা ও এলাকাবাসী জানান, বিগত ২ বছর আগে ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের জাগিরাচালা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে সুইটি বেগম (২০) কে একই গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে মো. রোকন (২২) এর সাথে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আরো মোটা অঙ্কের টাকা এনে দেয়ার জন্য স্বামী-শাশুড়ি ও ননাসসহ সকলেই মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এতে মাঝে মধ্যেই তাদের পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গত ২৫ জানুয়ারি শনিবার স্বামী-শাশুড়ি ও ননাস মিলে গৃহবধূ সুইটিকে পিটিয়ে আহত করে। পরে খাবার লবণের সাথে বিষ মিশিয়ে জোর করে খাওয়ানো হয়। তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। গত রোববার রাতে চিৎিসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধূ সুইটি বেগমের মৃত্যু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বামী-শাশুড়িসহ বাড়ির সবাই বাড়িতে তালা ঝুঁলিয়ে পালিয়ে গেছে। ধনবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। গৃহবধূর বাবা তোফাজ্জল ও মা শেফালি বেগম জানান, যৌতুকের জন্য মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ওসি মো. চাঁন মিয়া জানান, শুনেছি মেয়েটি বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামালা দেয়া হলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন