শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজউককে হেয় করে বাহবা নেয়ার চেষ্টা

টিআইবি সম্পর্কে গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ এএম

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলছেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে রাজউককে হেয় করে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করেছে টিআইবি।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি ওই কথা বলেন। এর আগে ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবাগ্রহীতা ইমারত নকশা অনুমোদনে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে যে সংবাদ এসেছে সেখান থেকে অবহিত হয়েছি- রাজউকে সেবা নিতে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ লাগে। এই বক্তব্যটি কোনোভাবে সত্য নয়, এর কোনো ভিত্তি নেই। এটা সম্পূর্ণরুপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনবান্ধব একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে হয়তো কারও দেয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হেয়প্রতিপন্ন করে আলাদা একটা বাহবা নেয়ার চেষ্টা করেছে তারা। তাদের এই অভিযোগের কী ভিত্তি, সেই ভিত্তি কোথায়? তারা সুস্পষ্টভাবে বলেননি।

রেজাউল করিম বলেন, একটি অভিযোগে তারা বলেছেন বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে রিয়েল স্টেট ডেভেলপারকে ১৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। আমি এক বছরের বেশি সময় আগে মন্ত্রী হয়েছি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এ জাতীয় কোনো প্রকল্পের অনুমোদনই হয়নি।

টিআইবি ভূমির ছাড়পত্র, আমমোক্তার নামা গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে টাকা দেয়ার কথা বলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রাজউকে আইন করে দেয়া হয়েছে যে সেবা নিতে গেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দিতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা অটোমেশন পদ্ধতি চালু করেছি। এখন ঘরে বসেও একটি প্ল্যান স্ক্যান করে ল্যাপটপের মাধ্যমে নির্ধারিত অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করা যায়। সরকারি যে ফি তা জমা দিয়ে রিসিট ও নম্বর দিলে সেই সেবাটা গ্রহণ করা যায়। ফলে এক্ষেত্রে আলাদা ঘুষ দেয়ার অভিযোগ আসার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিনি বলেন, এরপরও যদি সুনির্দিষ্টভাবে তারা অভিযোগদাতার কথা আমাদের বলতেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি- রাজউকে নতুন চেয়ারম্যান এসেছেন। তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে টিআইবির কাছে কোনো প্রতিবাদ জানানো হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, টিআইবি এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নয় যে তাদেরকে আনুষ্ঠারিকভাবে...তারাই তো আমাকে কোনো অভিযোগ জানায়নি। তারা অনুমানভিত্তিক করেছে, আমরা গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। সেজন্য গণমাধ্যমের মাধ্যমেই জানালাম তাদের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই, অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

দুর্নীতি বন্ধে এর আগে দুদকের সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে পূর্তমন্ত্রী বলেন, দুদক কিছু গাইডলাইন দিয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আমরা ১৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছি। সেই নির্দেশনার আলোকে চলমান কর্মকান্ডে অনেক বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এসেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন