শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দুই শিক্ষকের হাতাহাতি

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাড়ি ভাড়াসহ নানা দাবিতে কুমিল্লার লালমাই সরকারি কলেজের প্রিন্সিপালের কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকদের একটি পক্ষ। সেই সঙ্গে নানা অভিযোগ তুলে প্রিন্সিপালের অব্যাহতি চেয়ে ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
এ অবস্থায় আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রিন্সিপালের অনুসারী শিক্ষকরা কথা বলতে গেলে মামুনুর রশিদ নামে এক শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দুই পক্ষের এমন ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ কলেজ ক্যাম্পাস ও স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার সকালে শিক্ষক পরিষদ ও কর্মচারীবৃন্দ ব্যানারে প্রিন্সিপালের অব্যাহতি চেয়ে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের শিক্ষকরা কলেজের শ্রেণিকক্ষ, একাডেমিক ভবন ও প্রিন্সিপালের কার্যালয়সহ প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। প্রিন্সিপাল ও তার পক্ষের শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বলতে গেলে শিক্ষক মামুনুর রশিদকে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল জেসমিন আক্তার স্নাতক (সম্মান) শিক্ষা কার্যক্রমে প্রথম সাময়িক অধিভুক্তি সংক্রান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠি জালিয়াতি করেছেন। এছাড়া তিনি পরীক্ষার ফরম পূরণের সম্মানী, বিশেষ ক্লাস, মডেল পরীক্ষা, সেমিস্টার, ইনকোর্স পরীক্ষা, ভর্তি বাবদ সম্মানীসহ নানা খাতে অনিয়ম করে দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিলেও আমাদের বাড়ি ভাড়া প্রদানসহ ন্যায্য দাবিগুলো মানছেন না।
প্রিন্সিপাল জেসমিন আক্তার বলেন, কলেজটি সবেমাত্র জাতীয়করণ হয়েছে। আমি ২০১৮ সালের ১৮অক্টোবর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি জালিয়াতিসহ কিছু অভিযোগ আছে, যা আমার পূর্ববর্তী প্রিন্সিপালের সময়ের হলেও তারা আমার ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার পাওয়ার দাবি ন্যায্য, শিক্ষক হিসেবে এটি আমারও দাবি। তবে এ দাবি বাস্তবায়ন হবে সরকারি আদেশে। কিন্তু এক্ষেত্রে কতিপয় শিক্ষক আমাকে দায়ী করে আরও কিছু অভিযোগ তুলে অব্যাহতি চেয়ে অবস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি করে কলেজের সার্বিক কর্মকান্ড স্থবির করে দিয়েছেন। তারা একজন শিক্ষককে মারধর করে রক্তাক্ত করেছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মো. আবদুর রহিম বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিয়া মোহাম্মাদ কেয়াম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। কলেজে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন