বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে দেশে ফুটবল একাডেমী তৈরি করবেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিডিএফএ) মহাসচিব ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন। আগামী এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। এই নির্বাচনে জয়ী হলে একাডেমী তৈরির পাশাপাশি একটি শক্তিশালী জাতীয় দল গঠনের লক্ষ্যে তৃণমূল থেকে ফুটবলার তুলে আনবেন বলে জানান এই ফুটবল সংগঠক। এমন জাতীয় দল গঠন করা হবে যে দলটি বিশ^ ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে গর্বের লাল-সবুজ পতাকার মান উঁচু থেকে আরো উঁচুতে নিয়ে যাবে। শনিবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে বিডিডিএফএ’র ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রুহুল আমিন। বিডিডিএফএ’র সভাপতি চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রায় ৪০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বাফুফের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মহি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর, এমবি সাইফ ও মঞ্জুরুল আলম দুলাল।
বলা যায়, বাফুফের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিডিডিএফএ’র নেতাদের চট্টগ্রামে একত্রিত হওয়াটা এক মিলনমেলা। কালকের সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল বাফুফে নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার তৈরি এবং নির্বাচনী প্যানেল গঠনে একটি কার্যকরি ও শক্তিশালী কমিটি গঠন। সভা নিয়ে বিডিডিএফএ’র মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিডিএফএ) ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ছিল আজকে (শনিবার)। এটি আমাদের নিয়মিত সভায় অংশ। চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির এই সভার সভাপত্বি করনে। সামনে বাফুফে নির্বাচন। এ সভায় মূলত নির্বাচনমুখী আলোচনা হয়েছে। আমরা কিভাবে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারি সেটা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়। আপনারা জানেন যে, বাফুফের আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে আমাকে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন মনোনয়ন দিয়েছে। সভায় আসন্ন নির্বাচনের পাশাপাশি ২০১৯ সালে বিভিন্ন জেলায় যে লিগগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া ফুটবলের নানা সমস্যা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়।’
তরফদার মো. রুহুল আমিন আরো বলেন,‘২০১৬ সালে বাফুফের সর্বশেষ নির্বাচনে জয়লাভের পর সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘আগামী চার বছর জেলা, ক্লাব এবং জাতীয় দল-এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে তার কমিটি’। কিন্তু চেয়ারে বসে আগের দুই মেয়াদের মতো তৃতীয় মেয়াদেও কথা রাখেননি সালাউদ্দিন। জেলা লিগ, ক্লাব গুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন কিংবা শক্তিশালী জাতীয় দল গঠন- এসবের কিছুৃই করতে পারেননি তিনি। এমনকি নির্বাচনের আগে যে ২৫টি বিষয়কে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন, সেগুলোর একটিও বাস্তবায়ন করেননি। গেল ১২ বছরে বাফুফে একটা একাডেমি পর্যন্ত দাড় করাতে পারেনি! তিনি যা পারেননি বা করেননি নির্বাচিত হলে তা করে দেখাবো আমি।’ তিনি যোগ করেন,‘আমাদের প্রিমিয়ার লিগের অধিকাংশ ক্লাবেরই একাডেমি নেই। যদি আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে আমরা একটা একাডেমি তৈরি করব। যে একাডেমি হবে প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরির কারখানা। এখানকার খেলোয়াড়রা বিভিন্ন লিগের ক্লাবগুলোতে খেলবে। তাদের মধ্য থেকেই খেলোয়াড় বাছাই করে একটি শক্তিশালী জাতীয় দল গঠন করব। যে দল বিশে^ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। আমাদের গর্বের লাল-সবুজের মান রাখবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন