পিঁয়াজের পর এবার আলোচনায় এসেছে রসুন। কিছুদিন ধরেই এই পণ্যটির মূল্য বাড়ছে। রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এককেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা রসুন কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশি রসুনের মূল্য বেড়েছে ১৯১.৬৭ শতাংশ। আর আমদানি করা রসুনের মূল্য বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। তবে গত এক মাসের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৮৮.৮৮ শতাংশ।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, গত বছর যে রসুন ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত এখন সেই রসুন প্রতিকেজি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি নতুন রসুনের কেজি ১৫০-১৬০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে যত রসুন আমদানি হয় তার ৯৬ শতাংশই আসে চীন থেকে। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় এক মাস ধরে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সেখান থেকে রসুন আসছে না। বিকল্প হিসেবে বর্তমানে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অল্প পরিমাণ রসুন আমদানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসে মোট ৫২ হাজার ৪৬১ টন রসুন আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ শতাংশই এসেছে চীন থেকে।
জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর রসুনের চাহিদা প্রায় ৬ লাখ টন। এর মধ্যে ১৩-২০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বাকি রসুন দেশেই উৎপাদন হয়। ট্যারিফ কমিশনের হিসেবে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রসুন উৎপাদিত হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার টন। সেখান থেকে পচে যাওয়া রসুন বাদ দিয়ে প্রকৃত উৎপাদন ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার টন। তবে বিবিএসের হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রসুনের উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার টন।
এ প্রসঙ্গে পুরান ঢাকার আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, এখন চীন থেকে রসুন আসতে সমস্যা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। আশা করছি,আগামী এক মাস পর থেকে ভারতীয় রসুন আমদানি শুরু হবে। দেশীয় নতুন রসুনও উঠতে শুরু করেছে। তখন দাম কমবে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, চীনের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত রসুনসহ জিনিসপত্রের দাম এভাবে বাড়তেই থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন