সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচের দাম। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২ টাকা, চায়না রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজি ৪০ টাকা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। দোকানিরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে মজুদ সংকটের পাশাপাশি আমদানি বন্ধ থাকায় বাজাওে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে মরিচের সরবরাহ কমেছে। এ কারণে মরিচ বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দামে।
কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। চায়না রসুন কেজি প্রতি ১৬০ টাকা, দেশি রসুন কেজি প্রতি ১১০ টাকা, আদা কেজি ১৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, মসুরের ডাল দেশি ১১০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, শশা ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, কুমড়া ১০ টাকা বেড়ে কেজি ৩০ টাকা, পটল ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, বেগুন কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, পুঁইশাক কেজি প্রতি ২০ টাকা, পেঁপে পাঁচ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি ৮০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, কাঁচকলা ১৫ টাকা হালিতে বেড়ে ৩০ টাকা। তবে অপরিবর্তীত রয়েছে গরুর মাংস, ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক মুরগীর। গরুর মাংস কেজি ৫৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৩০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগী ২২০ টাকা।
পেঁয়াজ, রসুনের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ানবাজারে পাইকারী ব্যবসায়ী মফিজুল বলেন, আমরা গত সপ্তাহে পাইকারি মোকামে পেঁয়াজ ও রসুন যা কিনেছি গত তিন দিন ধরে আমাদের অনেক বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজ ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা বেশি দামে কিনছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সামনে পেঁয়াজ, রসুনের দাম আরও বাড়বে।
বাজারে পণ্যের দাম কেমন এ বিষয়ে কারওয়ানবাজার কাঁচা বাজারে কথা হয় বাজার করতে আসা চাকুরিজীবী হুমায়রা হিমুর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে প্রায় সবকিছুর দাম বেশি। এখানে আমরা দিনদিন অসহায় হয়ে পড়ছি। আমাদের যেন কিছুই করার নেই। পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, বেগুন সবকিছুতে দাম বেড়েছে। এত দাম বাড়লে আমরা কিভাবে বেঁচে থাকব। এই শহর যেন আমাদের জন্য দিন দিন অভিশাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তবে অপরিবর্তীত রয়েছে চালের বাজার। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির চাল বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে। রশিদ মিনিকেট (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৫৬০ টাকা, এলসি মিনিকেট ২৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫৪০ টাকা, নাবিল মিনিকেট ৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা, মোজাম্মেল মিনিকেট ৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫৫০ টাকা, সাকি ২৮ চাল ৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯৮০ টাকা, নূরজাহান পাইজাম ৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৩০ টাকা, দাদা ২৮ চাল ৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা, শ্যামলী ২৮ চাল ৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকা, এছাড়া তীর ময়দা ৫০ কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০০ টাকায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন