শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সুরমায় বিলীন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা

আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জে। যার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, স্থাপনা ও গোলাপগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন স্থান ক্রমেই বিলীন হচ্ছে।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন অংশে সুরমা নদীর ভাঙনের শিকার ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হযরত শাহজালাল (রহ.) লতিফিয়া কমপ্লেক্স। এ কমপ্লেক্সটি ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দাখিল মাদরাসা, এতিমখানা, হিফজখানা ও মসজিদ। প্রায় এক যুগ পূর্বে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি আজ হুমকির সম্মুখীন। এতে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়েছে কমপ্লেক্সটির কয়েকটি ভবন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ভেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না ভবনগুলো। ভবনগুলোর দেখলে মনে হবে যেন শূন্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ ভাঙন আতঙ্কে ভোগছেন। কমপ্লেক্সটির পূর্ব দিকে নদীর তীরবর্তী গোলাপগঞ্জের জনবহুল বাজার থাকলেও এ নিয়ে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। ভাঙন রোধে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক আবেদন করেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা পাচ্ছে না। নদী ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য স্থাপনা ও বাজারের দোকান। ভাঙন ব্যবস্থা প্রতিরোধের জন্য গোলাপগঞ্জবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
হযরত শাহজালাল (রহ.) লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুর রহমান বলেন, সুরমা নদীর ভাঙনের মুখে মাদরাসার, এতিমখানা মসজিদ ও হিফজখানা। এছাড়া বাজারের বিভিন্ন স্থানেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা না হলে এলাকাবাসীর বিরাট ক্ষতি হবে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, কিছুটা ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন