গৌরীপুরে গত শুক্রবার দিনগত রাতে কথিত জ্বিনের বাদশার সহযোগীকে গৌরীপুর থানার পুলিশ শাহগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলার আতুয়াজঙ্গল গ্রামের মৃত মফিজ মোড়লের পুত্র মো. সুলতান (৪০) অচিন্তপুর ইউনিয়নের গাগলা গ্রামে ইটভাটায় শ্রমিক হিসাবে ২ বছর কাজ করে। শাহগঞ্জ বাজারে মাংস ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের সাথে মাংস ক্রেতা হিসাবে তার পরিচয় হয়। সে সুবাদে সুলতান মতিউরের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সুলতান ও কথিত জ্বিনের বাদশা ধোবাউড়া উপজেলার ধোবাউড়া বাজারের মো. কাশেম মাংস ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী নাছিমাসহ মেয়ে মিতু ও ঋতুকে বলে আপনাদের বাড়িতে ১০টি দুষ্ট জ্বিন আছে। এগুলো আপনাদের ভীষণ ক্ষতি করবে। গর্ভবতী মেয়ে মিতুর পেটের সন্তান নষ্ট হবে আমাদের কথামত কাজ না করলে। আমার কাছে জ্বিনের বাদশা কাশেম আছে। তাকে দিয়ে দুষ্ট জ্বিন তাড়াতে হবে। তখন সুলতান বলে আপনাদের কাছে যে স্বর্ণঅলংকার আছে সেগুলো খুলে আমাদের সামনে রাখুন। মা-মেয়েরা ভয়ে সব কিছু খুলে সুলতান ও কথিত জ্বিনের বাদশার সামেনে রাখে। সে সময় প্রতারক সুলতান ও কথিত জ্বিনের বাদশা মো. কশেম সবাইকে পানি পড়া খাওয়ায়। মা-মেয়ে যখন অবচেতন অবস্থায় তখন প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণঅলংকার চেইন, কানের দুল নিয়ে তারা চম্পট দেয়। সুলতান নিজেই মতিউরকে ফাসাঁনোর জন্য ৯৯৯ ফোন করে। পরে গৌরীপুর থানায় পুলিশ প্রতারক সুলতানকে আটক করে। এ বিষয়ে গতকাল মতিউর বাদি হয়ে ২ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা করে। পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ কোর্টে প্রেরন করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন