শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

প্রশ্ন : আমার বড় ভাইয়ের কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। এখন আমি একটি কিডনি দিতে চাচ্ছি। শরীয়তের বিধান জানতে চাই।

মিশকাত রহমান, চট্টগ্রাম। | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:০৪ এএম

উত্তর : শরীয়তে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মালিক সে নিজে নয়। এর মালিক আল্লাহ তায়ালা। সে জন্য কারো নিজের রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রয় করা জায়েজ নয়। দান করা বা মৃত্যুর পর অপরকে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়ে যাওয়াও নিঃশর্তভাবে জায়েজ নয়। বিশেষ ক্ষেত্রে বিজ্ঞ মুফতি সাহেবের সুনির্দিষ্ট ফতোয়া নিয়ে দান করা যায়। আপনার ভাইয়ের ক্ষেত্রে যদি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরামর্শ দেন, আপনার জীবনের কোনো বড় আশঙ্কা না থাকে, আপনার বড় ভাইয়ের সুস্থতা ও ম্যাচিং যদি সন্দেহমুক্ত হয়, তাহলে আপনি তাকে একটি কিডনি দিতে পারবেন।
প্রশ্ন : আমি ছোট থাকতেই আমার বাবা মারা যান। বর্তমানে তার কবরের কোনো চিহ্ন নেই। কবর বাঁধিয়ে রাখলে আমি তা দেখতে পেতাম, জিয়ারত করতে পারতাম। কবর না জানার বিষয়টি আমাকে খুবই পীড়া দেয়। আমি এখন কী করব?
সিফাত-ই-রব, কুয়েত।
উত্তর : আপনার মরহুম আব্বার জন্য আপনি দোয়া করবেন। আল্লাহর হুকুম এটিই। এছাড়া দান-খয়রাত, নফল ইবাদত ইত্যাদি করে তার রূহে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করবেন। যে কবরস্থানে তিনি আছেন সম্ভব হলে সেখানে গিয়ে জিয়ারত করবেন। নির্দিষ্ট করে কবর না চিনলেও সওয়াব হবে। কবর চিহ্নিত করে রাখার জন্য মাথার দিকে কোনো পাথর বা চিহ্ন রেখে দেয়া হয়। অনেকে গাছও লাগিয়ে রাখেন। এর বেশি কিছু করা শরীয়ত উৎসাহিত করে না। কারণ যদি সবাই কবর বাঁধাই করে রাখে তাহলে পরবর্তীতে নতুন কবর দেয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে। অথচ কবরস্থান প্রজন্মের পর প্রজন্ম চালু রাখার জন্য সকল কবর বাঁধাইবিহীন থাকাই অধিক সমীচীন। আপনার মনের কষ্ট সওয়াব আকারে আপনি পাবেন, ধৈর্য ও দোয়ার মাধ্যমে। আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকার মাধ্যমে। আপনি আব্বার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দয়া লাভের দোয়া করে যান। এতেই আপনার আব্বা উপকৃত হবেন। আপনারও অনেক সওয়াব হবে। কবর না থাকার কষ্ট মনে পুষে রাখবেন না।
-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন