নাটোরের লালপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের অধীনে দুর্যোগ সহনীয় ২৮টি পাকা বাড়ি পেল ২৮ জন গৃহহীন পরিবার। বর্তমানে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। খুব শিগগিরই ঘর নির্মাণ শেষে উপকারভোগীদের মাঝে নতুন বাড়িগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্ধে ২০১৯-২০ অর্থবছরে লালপুর উপজেলায় মোট ২৮টি হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, গৃহহীন পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় পাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। ‘গৃহহীনদের গৃহদান’ কর্মসূচির অগ্রাধিকার প্রদান, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় যে সকল দারিদ্র জনগোষ্ঠীর সামান্য জমি বা ভিটা আছে কিন্তু টেকশই ঘর নেই তাদের জন্য ৮০০ বর্গফুটের জায়গায় রান্নঘর, টয়লেটসহ একটি সেমিপাকা টিনশেডের ২ কক্ষ বিশিষ্ট নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘চলািত বছরে উপজেলার ২৮টি দুর্যোগ সহনীয় পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে গৃহহীনদের। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮শ’ ৬০ টাকা। এতে প্রতিটি পরিবার রান্নঘর, টয়লেটসহ একটি সেমিপাকা টিনশেডের দুই কক্ষ রয়েছে। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার। লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ২৮ জন গৃহহীন পরিবারের জন্য ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। যে সকল ব্যক্তিদের ১ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই বা থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন ব্যক্তিরাই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সদস্য সচিব, উপজেলা প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সদস্য করা হয়েছে।
কমেলা বেগম নামের এক উপকারভোগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার থাকার কোনো ঘর ছিল না, সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে মাথাগোজার জন্য আমরা পাকা বাড়ি পাচ্ছি। আমরা সরকারের নিকট চিরো কৃতজ্ঞ।
নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উ¤মুল বানীন দ্যুতি ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিটি ঘর নির্মাণ বাবদ ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮শ’ ৬০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমরা নির্ধারিত বরাদ্দের মধ্যেই ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি এবং ঘরগুলো খুব দ্রæত নির্মাণ কাজ শেষে সুবিধাভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন