শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিটিআরসিকে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনসচেতনতা তৈরিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে (বিটিআরসি) কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার বিটিআরসির চেয়ারম্যানের কাছে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আহবান জানানো হয়।

চিঠিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন জানায়, দেশের প্রতিটি নাগরিকই কোন না কোন ভাবে টেলিযোগাযোগ সেবার গ্রাহক। তাই প্রতিটি নাগরিকের দ্রæত সতর্ক ও সচেতনতা তৈরিতে টেলিযোগাযোগের মাধ্যম ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। চীনের উহান প্রদেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের নাগরিকরাও চরম উদ্বেগের মধ্যে ছিল। সরকার গত এক মাস যাবত করোনা মোকাবেলায় কার্যক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। যার ধারাবাহিকতায় আইইসিডিআরবি প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করে পরিস্থিতি জানিয়ে দিচ্ছে। গত ৩ দিন পূর্বে বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত হওয়ার পর নাগরিকদের মধ্যে চরম উৎকন্ঠা ও উদ্বেগ বিরাজমান রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে এ নিয়ে নানা গুজব-অপপ্রচারও করা হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন টেলিযোগাযোগ সেবার অভিভাবক হিসেবে কমিশনের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম হচ্ছে মুঠোফোন। জনসচেতনতা, গুজব প্রতিরোধে ও করোনা মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে প্রতিটি নাগরিককে দ্রুত সংবাদ পৌঁছাতে পারে টেলিকম অপারেটররা। আর অভিভাবক হিসেবে কমিশন পারে দিক নির্দেশনা দিতে। ইতোমধ্যে একটি অপারেটর শুধুমাত্র তাদের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে আইইসিডিআরবি’র জরুরী নাম্বারে ফোন করতে টোল ফ্রি করেছেন। এটি ভাল উদ্যোগ। তবে সকল অপারেটর এ ধরণের উদ্যোগ নিলে দেশের ১৬ কোটি নাগরিকই এই সেবার আওতায় আসতো। কমিশনের কাছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রস্তবনা তুলে ধরে বলা হয়, অপারেটরদের সচেতনতামূলক ও করণীয় সম্পর্কিত ম্যাসেজ প্রদানের নির্দেশনা দিতে পারে। অপারেটরদের কনটেন্ট চ্যানেলগুলোতে এ সংক্রান্ত নাটিকা প্রচার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরার নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে গুজব-অপপ্রচার অপসারণ করে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করতে পারে। কমিশনের নিকট গ্রাহকদের গচ্ছিত সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল দিয়ে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিনামূল্যে কমিশন প্রদান করতে পারে। তাছাড়া কমিশনের সকল লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে করোনা মোকাবেলায় কমিশনের নেতৃত্বে একযোগে সারাদেশ ব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন