প্রশ্ন : মৃত্যুর আগে আমার পিতা তার সম্পত্তির বিরাট এক অংশ দান করে যান। যে বিষয়ে আমরা ভাই-বোন অবগত ছিলাম না। আমাদের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। এখন আমরা কি সবাই একমত হয়ে সে সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে পারব?
মো. ইসমাইল, পটুয়াখালী।
উত্তর : আপনার পিতা যদি নিজ সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ বা এর কম দান করে গিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কোনো ভুল করেননি। কারণ, এক তৃতীয়াংশ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া শরিয়তে অনুমোদিত রয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের অবহিত করাও তার জন্য জরুরি ছিল না। ইসলামে এক তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ দান বা ওসিয়ত করে যাওয়া নিষিদ্ধ। তবে বেশি দান করে ফেললে সেটি দান বলেই সাব্যস্ত হয়ে যায়, ওয়ারিশানরা ফেরত নিতে পারে না। তবে আপনাদের অবস্থা যদি সচ্ছল না থেকে থাকে, তাহলে এতটুকু দান করাও তার জন্য জরুরি ছিল না। তার জন্য বরং আপনাদের জন্য সম্পত্তি রেখে যাওয়াই অধিক সমীচীন ছিল। সাধারণত সন্তানদের প্রতি কোনো কারণে বিরক্ত হয়েও মানুষ সম্পত্তি অন্যকে দিয়ে দেয়। বর্তমানে আপনাদের যে সম্পত্তি আছে তাই আপনারা সঠিক হারে বণ্টন করে ভোগদখল করতে পারবেন। দানকৃত সম্পত্তি ফিরিয়ে নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে দান যদি কোনো ব্যক্তিকে করে থাকেন, আর তিনি যদি দয়াপরবশ হয়ে আপনাদের তা ফিরিয়ে দেন তাহলে অন্য কথা। তবে ধর্মীয় বা জনকল্যাণমূলক কোনো প্রতিষ্ঠানে দান করলে তা আর কেউ ফিরিয়ে দিতে বা নিতে পারে না।
প্রশ্ন : এক ব্যক্তির কাছে আমি ২০ হাজার টাকা পাই। সে নিজ ইচ্ছায় আমাকে টাকা না দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে দিতে চাইছে। মাসে এ ৩০০ টাকা আমার জন্য বৈধ হবে কি?
সালামাত মোল্লা, রংপুর।
উত্তর : না, হবে না। কারণ, ২০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ আপনি ফেরত পেলে, প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এ টাকার সুদ বলে বিবেচিত হবে। শরিয়তে ব্যবসার লভ্যাংশ ছাড়া অপর কোনো শর্তযুক্ত টাকা কোনোরূপ বিনিময় ব্যতীত গ্রহণ করা বৈধ নয়। ইসলামে কর্জ বা ঋণ প্রদান একটি সওয়াবের কাজ। এর বাহ্যিক বিনিময় গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন