শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জীবিত কিংবা মৃত হলেও ছেলের সন্ধান চান মা

ক্র্যাবে সংবাদ সম্মেলন

বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

পাঁচ মাস আগে রাজধানী থেকে এক স্কুল ছাত্র অপহৃত হলেও আদৌ তাকে জীবিত কিংবা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছেলের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাননি অপহৃত কুতুব উদ্দিন পাপ্পুর (১৪) পরিবার। পরিবারের একটাই আকুতি, হোক জীবিত কিংবা মৃত; তবুও পাপ্পুর সন্ধান চান তারা। গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান নিখোঁজ পাপ্পুর পরিবার। এ সময় পাপ্পুর মা রুনা পারভীন রুনু, ভাই রাকিব, মামি রওশন আরা বিথীসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

পাপ্পুর মা রুনা পারভীন রুনু জানান, তারা দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ৩০১ ধোলাইপাড় বাজার এলাকায় থাকেন। তার ছোট ছেলে কুতুব উদ্দিন পাপ্পু ওখানকার উদয়ন কিন্ডার গার্ডেনের ৫ম শ্রেণিতে পড়ত। গত ৩ অক্টোবর বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি পাপ্পু। পরে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন তারা। ৫ অক্টোবর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ইমু’তে পাপ্পুর চোখ বাধা ছবি পাঠিয়ে জানায়, পাপ্পু তার কাছে আছে। পাপ্পুর নামে থাকা বাড়ি বিক্রি করে ২কোটি টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। এই অবস্থায় তারা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের শরণাপন্ন হন।

ডিবি’র এই টিম ধোলাইপাড় শহীদ চান্দির বাড়ি থেকে রাজু নামে এক যুবকের মা ও বড় ভাই রাজীবকে আটক করে। তাদের তথ্যমতে, পাপ্পুকে অপহরণে জড়িত থাকায় রাজুকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজুর বাসা থেকে পাপ্পুর মোবাইল, জুতা ও প্যান্টের বেল্ট উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতার রাজু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে ও আদালতে জানায়, পাপ্পু তাদের সঙ্গে মদ পান করতে গিয়ে মারা যায়। পরে তাকে বস্তা ভরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকার নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে ডিবি পুলিশ, ডুবুরি দল একাধিকবার উদ্ধার অভিযান চালিয়েও পাপ্পুর মরদেহের সন্ধান পায়নি। তাই আমাদের ধারণা, পাপ্পু এখনো জীবিত আছে। তা ছাড়া গ্রেফতার রাজু ডিবি পুলিশকে ও আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছে, তার সঙ্গে কোনো মিল নেই।

পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে এবং সিআইডি কতৃক পাপ্পু ও রাজুর মোবাইল ফোন ফরেনসিক করলে সেটি স্পষ্ট হয়। ৩ মাস ধরে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। তারাও কোনো সুরাহা করতে পারছেন না। তাই হোক জীবিত কিংবা মৃত, তবুও একবারের জন্য ছেলের সন্ধান চান হতভাগা এই মা। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অপহৃত পাপ্পুর পরিবার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন