শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ড্রেজিং শেষ হয়নি ৪ মাসেও

বরিশাল নদী বন্দর

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

বরিশাল নদী বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম ৪ মাসেও শেষ হয়নি। ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ নদী বন্দরে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নানা ধরনের জটিলতা অব্যাহত রয়েছে। তবে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা চলতি মাসের মধ্যেই দেড় লাখ ঘন মিটার পলি অপসারণের মাধ্যমে বন্দরের ড্রেজিং কর্যক্রম সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন। গত ১ নভেম্বর বরিশাল নদী বন্দরের নাব্যতা উন্নয়নে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি শেষ করার কথা জানিয়েছিল।
কিন্তু মোতায়েনকৃত ড্রেজারটি বিকল হবার পাশাপাশি বন্দরের মূল বেসিনের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত ঘেঁসে একটি নতুন চর সৃষ্টি হওয়ায় তা অপসারণ জরুরি হয়ে পড়ে। বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার মেঘনা এখনো বিকল অবস্থায় বরিশাল বন্দরে পড়ে আছে। ড্রেজারটি সচল করতে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে অনেক সময় লাগছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে হলেও যত দ্রত সম্ভব ড্রেজিং শেষ করার কথা জানিয়েছেন ড্রেজিং বিভাগের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। আর এ লক্ষে বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া একটি নতুন ড্রেজার এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ বরিশাল বন্দরে পৌঁছবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চলতি মাসের মধ্যেই ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মূল বেসিনসহ নৌ চ্যানেলের নাব্যতা উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বরিশাল বন্দরে এক লাখ ঘন মিটার পলি অপসারণের লক্ষ্য থাকলেও বেসিনের উত্তর পাশে রসুলপুর চরের দক্ষিণ পাশে নবসৃষ্ট ডুবো চরটি অপসারণের কারণে তা দেড় লাখ ঘন মিটারে উন্নত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার কিউবিক মিটার পলি অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ নদী বন্দরে প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুম শুরু হবার আগেই অক্টোবর মাসে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়। নভেম্বরের মধ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হলেও তা কোন দিনই মার্চের আগে শেষ হচ্ছে না। ফলে মূল শুষ্ক মৌসুমে এ বন্দরের পরিচালন ব্যবস্থা প্রায়ই ব্যাহত হয়।
তবে দীর্ঘদিন ধরে এ বিপত্তি অব্যাহত থাকলেও আজ পর্যন্ত নদী বন্দরের সুষ্ঠু পরিচালন নির্বিঘ্নি রাখার লক্ষে একটি পূর্ণাঙ্গ কারিগরি সমীক্ষা বা নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটিকে দিয়ে মডেল স্ট্যাডির আলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। ফলে প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুম শুরু হবার আগেই মূল বেসিন ও চ্যানেলে নাব্যতা সঙ্কটে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ নদী বন্দর অচলাবস্থার কবলে পড়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন