শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পাকুন্দিয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০৬ এএম

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পূর্ব শত্রæতার জেরে জাহাঙ্গীর আলম মোনায়েম (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার চরআলগী গ্রামে মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আহতের ছোটভাই ইপেল মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১৫জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আহত মোনায়েম উপজেলার চরআলগী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইট ও বালু ব্যবসায়ী। মোনায়েম বর্তমানে ঢাকার উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘর থেকে এক লাখ ৪০হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে একই গ্রামের মান্নানের ইটভাটা থেকে ইট কেনার জন্য বের হন জাহাঙ্গীর আলম মোনায়েম। পথে একই এলাকার মোস্তফার বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্ব শত্রু তার জেরে পাশর্^বর্তী পাগলা থানার বিরুই গ্রামের মড়ল মিয়ার ছেলে রতন মিয়ার নেতৃত্বে ১০-১৫জন সন্ত্রাসী মোনায়েমের পথরোধ করে। এসময় রতন মিয়ার হুকুমে প্রথমে একই থানার বারুই গ্রামের রাশিদের ছেলে রিপন মিয়া ওরফে কিরিচ রিপন মোনায়েমের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দেয়। পরে সকল সন্ত্রাসী মোনায়েমের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। তারা তাকে কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। সঙ্গে থাকা এক লাখ ৪০হাজার টাকাও নিয়ে যায় রতন মিয়া। তার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মোনায়েমের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে ওইদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
মোনায়েমের ছোট ভাই মামলার বাদী ইপেল মিয়া বলেন, আমার ভাই মোনায়েম একজন নিরীহ মানুষ। অন্যদিকে রতন ও রিপন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও সব অপকর্মে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে অনেক মামলা রয়েছে। এলাকায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ নিয়ে পুলিশ ব্যস্ত রয়েছে। সুবিধামতো সময়ে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন