বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আল্লাহর দুনিয়ায় মানুষের প্রয়োজন নেই

এ এম এম বাহাউদ্দীন | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে মানুষ গৃহবন্দি। কারো কোনো ধরনের পরিচর্যা ছাড়াই আল্লাহর সৃষ্টি গাছপালা তাদের সৌরভ-সৌন্দর্য বিকশিত করেই চলেছে। চেরি গাছের ছবিটি ওয়াশিংটন ডিসির জেফারসন মেমোরিয়ালের সামনের -সংগৃহীত


মহান আল্লাহ সৌন্দর্যপ্রিয়। তিনি এই পৃথিবীকে অত্যন্ত সুন্দর, মনোরম ও নিখুঁত করে সৃষ্টি করেছেন। এই জন্য তিনি কারো সহায়তা গ্রহণ করেননি। পৃথিবীর সৌন্দর্য সুরক্ষা ও বর্ধনেও তাঁর কোনো সহায়তার প্রয়োজন নেই। মানুষ তাঁর প্রিয় বটে, কিন্তু এতে তারও প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে তিনিই যথেষ্ট।

মহামহিম আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির আগে আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেছেন, তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আকাশ ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আকাশে সমাসীন হন। তিনিই দিনকে রাত্রি দিয়ে ঢেকে দেন, যাতে ওরা একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চন্দ্র নক্ষত্ররাজি তারই আওতাধীন। তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখো, সৃষ্টি করা ও নির্দেশ দেয়া তাঁরই কাজ। তিনি মহিমাময় ও বিশ্বপ্রতিপালক। সূরা আরাফ: ৫৪। আল্লাহর সৃষ্টি সুশৃঙ্খল, নিয়মানুবর্তী ও সৌন্দর্যময়। তাঁর ভাষায়: তিনি যথাবিধি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। যখন তিনি বলেন ‘হও’, তখন তা হয়ে যায়। তাঁর কথাই সত্য। সূরা আনআম: ৭৩। অন্য এক আয়াতে তিনি বলেছেন, আকাশ ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তারই। তিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি। সেই সার্বভৌমত্বে কোনো শরীক নেই। তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন আর প্রত্যেককে যথোচিত প্রকৃতি দান করেছেন। সূরা ফুরকান: ২।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীকে পাহাড়-পর্বত, নদী-সমুদ্র, গাছ-পালা, তৃণ-লতা, ফল-ফুল, জীব-জন্তু, শস্যদানা আলোকময় দিন, অন্ধকার রাত, সুনির্মল বায়ু, মনোহর আকাশ, ইত্যাদিতে শোভিত করেছেন। এই যে বিবিধ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় উপাদন, এদের মধ্যে মানুষও অন্যতম। মানুষকে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর খলিফা হিসেবে পাঠিয়েছেন। বলেছেন, তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে খলিফা করছেন। আর তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা দিয়ে পরীক্ষা করার জন্য। সূরা আনআম: ১৬৫। এও বলেছেন, তিনি পৃথিবীর সবকিছুকে তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সূরা বাকারা: ২৯।

আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের মধ্যে মানুষের এই শ্রেষ্ঠতম মর্যাদা কেন? এর একটি নিগুঢ় উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো, তিনি মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তার সঙ্গে জিনের কথাও এসেছে। বলা হয়েছে, আমার উপাসনার জন্যই মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছি। সূরা জারিয়াত: ৫৬। মানুষের অস্তিত্ব, প্রয়োজন ও উপযোগিতার মূলকথা হলো, আল্লাহর ইবাদত। অর্থাৎ তিনি যা করতে বলেছেন, তা করা এবং যা করতে নিষেধ করেছেন তা করা থেকে বিরত থাকা। এর ব্যতিক্রম বা ব্যত্যয় ঘটলে আল্লাহর দুনিয়ায় মানুষের প্রয়োজন কী? আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন।

আল্লাহতায়ালা আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তাদের স্রষ্টা, প্রতিপালক ও রক্ষাকারী। এদের ধ্বংস ও বিনাশের ক্ষমতাও নিরঙ্কুশভাবে তাঁরই। আল্লাহ এককভাবে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তাঁর কোনো সাহায্যকারীর প্রয়োজন হয়নি। সৃষ্টিসমূহের প্রতিপালন ও সুরক্ষার কাজও তিনিই এককভাবে করছেন। অবশ্যই শেষ বিচারদিনের মালিকও তিনিই। তাঁর এই পৃথিবী থেকে অসৎকর্মশীল, অকৃতজ্ঞ ও সীমালঙ্খনকারী মানুষ যদি না থাকে, তবে দুনিয়ায় কেন অপূর্ণতা সৃষ্টি হবে?
করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভাইরাসজনিত মহামারী পৃথিবীতে এর আগেও হয়েছে এবং তাতে মানুষ গণহারে মারা গেছে। কিন্তু অতীতে কোনো ভাইরাস করোনার মতো গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েনি। এত ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেনি। সাড়ে তিন মাসের মধ্যে এ ভাইরাস দুই শতাধিক দেশে সংক্রমিত হয়েছে। এ পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

করোনাভাইরাস মানুষের অস্তিত্বকেই হুমকির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। এর কোনো প্রতিষেধক নেই। কবে নাগাদ প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হবে, কেউ বলতে পারে না। ততদিনে মানুষের বিনাশ কোনো পর্যায়ে পৌঁছাবে, কে জানে! প্রাণঘাতী এই ব্যাধির কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পৃথিবীর তাবৎ মানুষের অর্ধেকের বেশি স্বেচ্ছাবন্দি হিসাবে ঘরে আটক হয়ে আছে। সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ফলপ্রসূ বিবেচিত হওয়ায় সব দেশেই সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
গোটা মানব জাতির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, তার ধারা ও ধরনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই সঙ্গে জীবিকা, কর্মপ্রবাহ, উৎপাদন, আমদানি-রফতানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, পরিবহন ইত্যাদি অচল হয়ে পড়েছে। রাজনীতি, কূটনীতি, অর্থনীতি থেমে গেছে। উন্নয়ন স্তব্ধ। সভ্যতাও ভয়াবহ হুমকিতে।

করোনা বিশ্বের উন্নত, উন্নয়শীল ও দরিদ্র দেশগুলোকে একই সমতলে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। একই উদ্বেগ, শঙ্কা, ভীতি ও বিপন্নতার শিকার সব দেশ ও সব মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি। মারণাস্ত্র ও অর্থ বলে এবং প্রভাববিস্তারী ক্ষমতার দিক দিয়ে সেরা এই দেশটি এখন করোনায় নাস্তানাবুদ। তার রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থার দুর্বলতা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভঙ্গুরতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যগ্রাহ্য হয়ে উঠেছে। যার মজুদ পারমাণবিক অস্ত্রে বিশ্বকে বহুবার ধ্বংস করে দেয়া সম্ভব, সেই দেশটি এখন সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছে।

মৃত্যুর দিক দিয়ে ইতোমধ্যে দেশটি শীর্ষস্থান দখল করেছে। অস্ত্র, অর্থ, ক্ষমতার প্রভাব, কোনো কাজে আসছে না। দেশটি তার নাগরিকদের ন্যূনতম সুরক্ষা দিতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ। নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না লাশের। লাশের সম্মানজনক সৎকার হচ্ছে না; গণকবর দেয়া হচ্ছে।
ওদিকে যার সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না বলে প্রবাদ ছিল সেই ব্রিটেনের করোনায় আক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাসপাতলে ভর্তি  হয়েছিলেন। অবশ্য সুস্থ হয়ে গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, করোনার ভয়ে রাণী এলিজাবেথ একাধিকবার প্রাসাদ বদল করেছেন। শেষ রক্ষা হয়নি প্রিন্স চার্লসেরও। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

জার্মানী, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, প্রভৃতি সভ্যতাগর্বী ও উন্নত দেশও স্মরণকালের ভয়াবহতম বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বিশ্বের খ্যাতিমান রাজনীতিক, পেশাজীবী, ক্রীড়াবিদ, সেলিব্রেটি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অবস্থান, ক্ষমতা ও বিত্ত কোনো কিছুই করোনার মতো ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবকে প্রতিহত করতে পারছে না। তার কাছে পরাজয় কবুল করতে বাধ্য হয়েছে ক্ষমতাবান দেশগুলো।
তেলের কারণে সউদী আরব প্রভাব-বৈভবে মুসলিম বিশ্বে শীর্ষ স্থান লাভ করলেও এর রাজপরিবারের সদস্যরা করোনার ভয়ে ভীত-কম্পমান। তারা এখন অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে। ক্ষমতা, অর্থ, সম্পদ ও প্রতিপত্তি দিয়ে সব সময় যে সব কিছু হয় না করোনা সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে।

মানুষের মধ্যে এবং সমান্তরালভাবে মানব সভ্যতায় একটা বড় রকমের পরিবর্তন আসন্ন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এই পরিবর্তনের নিয়ামক হচ্ছে করোনাভাইরাস। করোনার আগের এবং পরের পৃথিবী সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যাবে। করোনাকারণে ইতোমধ্যেই সমুদ্রের পানি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। ইতোপূর্বে নানা রকম দূষণে সমুদ্র তার বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলেছিল। বিশ্বের বর্জ্য সামগ্রীর শেষ ভাগাড় হয়ে পড়েছিল সমুদ্র। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন ঘটেছে। প্রকৃতি সজিব হয়ে উঠছে এবং সেখানে পাখির আগমন ও বিচরণ বেড়েছে, যেটা ছিল দুর্লভ।

এদিকে খবর বেরিয়েছে, ভারতের ১২৫ মাইল দূরবর্তী এলাকা থেকে এখন হিমালয় স্পষ্ট দৃশ্যমান হচ্ছে। এতদিন বায়ুদূষণে তা দেখা যেতো না। বিশ্বের পরিবেশবাদীরা এর মধ্যেই জানিয়েছেন, পরিবেশে দূষণের মাত্রা কমছে। ঢাকা-দিল্লির বায়ুদূষণ হ্রাস পেয়েছে। করোনাকারণে কলকারখানা, যানবাহন, ইটভাটা ইত্যাদি বন্ধ থাকায় বায়ু ও পরিবেশে এই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

অন্যান্য বছরের এই সময়ের চেয়ে এখন প্রকৃতিতে সবুজের বিস্তার ও ফুলের সমারহ অনেক বেশি। অনেক দৃষ্টিনন্দন। পৃথিবী সৌন্দর্যময় ও মনোহারি হয়ে উঠেছে। স্বংক্রিয়ভাবে সবকিছু হয়ে গেছে। এখানে মানুষের ভূমিকা শূন্য। জলবায়ুর পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বায়ুমন্ডলে অতিবেগুনী রশ্মির অব্যাহত অনুপ্রবেশ ইত্যাদি কারণে বিশ্ব পরিবেশ নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে, এই সাড়ে তিন মাস সময়ে তার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। জলবায়ুু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বের দেশগুলো এ পর্যন্ত যা করতে পারেনি, করোনা তা করে দেখিয়ে দিয়েছে। মহান আল্লাহ তাঁর মহিমাবলে কারো ভূমিকা ছাড়াই পরিবেশকে শোধন করে দিয়েছেন।

করোনার কাছে ধনী-গরিব বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। ধনী যেমন তাতে আক্রান্ত, তেমনি, গরিবও। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও বৈষম্য নেই। করোনার শিক্ষা এই যে, মৃত্যুতে যখন সবাই সমান, তেমনি জীবিতকালেও পরস্পরের মধ্যে এই সমতা থাকতে হবে। সেটাই মানবিক সাম্য, যার অভাব বিদ্যমান বিশ্বজুড়ে। উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, বিভিন্ন রকম বর্ণবাদ, ধর্মীয় বৈষম্য ইত্যাদি মানুষের মানবিক মূল্যবোধই হ্রাস করেনি, একে অপরের দুশমনে পরিণত করেছে। অথচ মহান আল্লাহপাকের দৃষ্টিতে মানুষ সবই এক জাতিভুক্ত।

করোনাকারণে উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ ও পশ্বাচার অনেকটাই কমেছে। আরও একটি বিষয় লক্ষ্যযোগ্য হয়ে উঠেছে যে, দেশ ও অঞ্চল নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে হামদর্দী ও পারস্পারিক সহায়তার ভাব আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মানুষ নিজের জীবন বিপন্ন করে আক্রান্তদের চিকিৎসা, সেবা ও সহযোগিতা দিচ্ছে। এটা মহানুভয়তার চূড়ান্ত। বহু ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসাকর্মী এজন্য মৃত্যুকে পর্যন্ত বরণ করতে এতটুকু দ্বিধা করছে না। এছাড়া অসহায়-দরিদ্র মানুষকে সহায়তার জন্য দেশে দেশে ধনী ও বিত্তবান শ্রেণি এগিয়ে এসেছে। মানুষ মানুষের জন্য, এ সত্যই আরো একবার প্রমাণিত হচ্ছে।

মানুষ যখন কোনো কারণে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে কিংবা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকতে বাধ্য হয়, তখন তার মধ্যে আত্মচিন্তা ও আত্মোপলব্ধির স্ফূরণ ঘটে। তার বিবেক তখন সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, উচিত-অনুচিত বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা দান করে। মানুষের মধ্যে এই যে পরিবর্তন, তার পেছনে এই আত্মচিন্তা ও আত্মোপলব্ধির ভূমিকা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।

করোনা আতঙ্ককর, ভীতিকর অবশ্যই। এটা গোটা মানব জাতির জন্য বিপর্যয়কর ও মহাবিপদস্বরূপ। এর জন্য কে দায়ী? আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, তোমাদের যে বিপদাপদ তা তো তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল। আর তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন। সূরা শুরা: ৩০। আল্লাহ বিপদাপদ দিয়ে তার বান্দাদের পরীক্ষা করেন, এমন কথাও তিনি বলেছেন। এও বলেছেন, আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কোনো বিপদই আসে না। আর যে আল্লাহে বিশ্বাস করে তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সব বিষয়ে ভালো জানেন। সূরা তাগাবুন: ১১। বিপদাপদে ধৈর্যশীল থাকার তাগিদ দিয়েছেন আল্লাহতায়ালা। বলেছেন, (তারাই ধৈর্যশীল) যারা তাদের ওপর কোনো বিপদাপদ এলে বলে, আমরা তো আল্লাহরই, আর নিশ্চিতভাবে তারই দিকে ফিরে যাবো। এইসব লোকের প্রতি তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে আশীর্বাদ ও দয়া পতিত হয়। আর এরাই সৎপথপ্রাপ্ত সূরা বাকারা: ১৫৬-৫৭।

বিপদাপদে ধৈর্যশীলদের ভীত, আতঙ্কিত ও বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহতায়ালার ওপর ভরসা করে থাকা এবং তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নেয়াই তার জন্য উত্তম। গত সাড়ে তিন মাসে বিশ্বের সবকিছু অচল ও বন্ধ। কিন্তু আল্লাহর অসীম রহমত ও করুণায়, এখন পর্যন্ত না খেয়ে কোথাও কেউ মারা যায়নি। পশুপাখিও না খেয়ে নেই।

বিশ্বে সাড়ে ছয়শ’ কোটিরও বেশি মানুষ। তাদের খাদ্যাসহ অন্যান্য চাহিদা কত হতে পারে, তা কল্পনাও করা যায় না। অথচ তাদের সব চাহিদাই কিছু কম বা বেশি পূরণ হচ্ছে। একে আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কী বলা যায়? আল্লাহই যে প্রত্যেকের রিজিকদাতা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনিই ঘোষণা করেছেন, পৃথিবীতে প্রত্যেক জীবের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। সূরা হুদ: ৬।

করোনাকারণে যেসব ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ গোচর হয়ে উঠেছে, তাতে সহজাত বোধ-বিবেচনাসম্পন্ন মানুষের জন্য রয়েছে শিক্ষা। সর্বশক্তিমান ও সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ। সব কিছুই তাঁর অধীন। কোনো কিছুই তাঁর এখতিয়ারের বাইরে নয়। এই সত্য যদি মানুষের চৈতন্যে আসে তবে সেটাই হবে, সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

মানুষ জীবনকে ভালোবাসে, মৃত্যুকে ভয় পায়। এক্ষেত্রে ধনী-নির্ধন বলে কথা নেই। করোনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। করোনাভাইরাস দ্রুততম সময়ে বিশ্বে যে মহামারী হয়ে দেখা দেবে, কয়েক মাস আগেও তা কারো জানা ছিল না। ভবিষ্যদ্বক্তারা অনেক ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করলেও করোনা সম্পর্কে কোনো কিছুই বলতে পারেনি। মানুষের চরম অসহায়তা এখানে স্পষ্ট। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন। সূরা বুরুজ: ১৬।

স্বভাবতই আকস্মিক এই বিপর্যয়ে ও জীবনের অনিশ্চয়তায় মানুষের মধ্যে আল্লাহমুখী প্রবণতা জাগ্রত হয়েছে। মানুষের দৃষ্টি এখন ঊর্ধাকাশে। আকাশের অধিপতির কাছে তার সকল প্রার্থনা, সকল আর্তি। তাঁর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই। এই একান্ত উপলব্ধিতে মানুষ এখন ঋদ্ধ। আল্লাহমুখী প্রবণতা মানুষের মধ্যে মানবতাবোধের নতুন করে জাগরণ ঘটিয়েছে, সৎকর্মশীলতা বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষে মানুষে পারস্পারিক সহযোগিতা যেমন বেড়েছে তেমনি, আন্তর্জাতিক সহমর্মিতাও বেড়েছে। বিশ্বনেতাদের মধ্যেকার পারম্পারিক সম্পর্ক আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি হৃদ্যতাপূর্ণ, সহানুভূতিশীল। করোনা মোকাবেলায় তারা পরস্পরকে সাহায্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আর্থিকভাবেও সহায়তার কথা বলছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন যতটা সম্ভব আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দিচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, করোনা সবচেয়ে ক্ষতি করবে বিশ্ব অর্থনীতিকে। অর্থনীতি বড় রকমে মন্দার মুখে পড়তে পারে এবং ৩০-এর দশকের মহামন্দাকেও তা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আশঙ্কিত মন্দা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকল দেশ মোটা অঙ্কের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন করেছে ৫০ হাজার কোটি ইউরো বা ৫৪ হাজার কোটি ডলার।
এডিবি বলেছে, করোনাকারণে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়ে যেতে পারে। এই অঙ্ক ভবিষ্যতে আরো বাড়তে পারে। তারপরও দেখা গেছে, বিশ্বের দেশসমূহ করোনা মোকাবেলায় যেমন জোটবদ্ধ বা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারেও যুগপৎ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু লকডাউন, শাটডাউন হওয়ার পরও অর্থনীতি যে ভেঙ্গে পড়েনি, সেটাও মহামহান আল্লাহর অনুগ্রহ।

আল্লাহপাক পরম করুণাময়, পরম দয়ালু। তার করুণা, দয়া ও অনুগ্রহর কোনো শেষ নেই, সীমা নেই। তিনিই বলেছেন, তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। সুরা নমল: ১৮। মানুষসহ জীবজগতের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বায়ু, পানি ও আলোর। আল্লাহর কী দয়া ও মহিমা, এই তিন উপকরণ পৃথিবীতে তিনি অফুরান করে দিয়েছেন।

আজ অক্সিজেনের জন্য বিশ্বজুড়ে হাহাকার চলছে। করোনায় আক্রান্তদের জন্য এর প্রয়োজন সমধিক। অথচ বাতাসে অক্সিজেনের কোনো অভাব নেই। এই বিষয়গুলো বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিক দার্শনিক, সমাজবেত্তা ও চিন্তকদের ভাবতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে। করোনাকারণে যে শুভ পরিবর্তনগুলো দেখা দিয়েছে, মানুষের মধ্যে যে সহানুভূতি-সহৃদয়তা জাগ্রত হয়েছে, বিশ্ব মানবের মধ্যে যে ঐক্য ও ভ্রাতৃবোধ জন্ম হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে এবং সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে।

মহামহান আল্লাহ বান্দার কৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন। আসুন, কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। তাঁর প্রশংসা করি এবং এ মহামারীর বিপর্যয় থেকে সুরক্ষার জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়া করতে বলেছেন, যাতে আল্লাহ করোনাভাইরাস থেকে আমাদের রক্ষা করেন। আসুন, আন্তরিকভাবে তাঁর কাছে দোয়া করি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (43)
Sahih ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৯:২৩ পিএম says : 2
সংক্রামক ব্যাধি, (ক্ষুধায় পেট কামড়ানো) কীট (বা সফর মাসের অগ্রপশ্চাৎকরণ) ও পাখির কুলক্ষণ বলে কিছু নেই গ্রন্থ:সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / হাদিস নাম্বার: 5594 ৫৫৯৪। আবূ তাহির ও হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। (এ হাদীস সে সময়ের) যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, (ক্ষুধায় পেট কামড়ানো) কীট (বা সফর মাসের অগ্রপশ্চাৎকরণ) ও পাখির কুলক্ষণ বলে কিছু নেই। তখন এক বেদুঈন আরব বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তা হলে সে উট পালের অবস্থা কি, যা কোন বালূকাময় ভূমিতে থাকে সেগুলো যেন (সুশ্রী) সবল। তারপর সেখানে পাঁচড়া আক্রান্ত (কোন) উট এসে তাদের মাঝে ঢুকে পড়ে তাদের সবশুলিকে পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়? তিনি বললেন, তা হলে প্রথম (উট)-টিকে কে সংক্রমিত করেছিল? حدثني أبو الطاهر، وحرملة بن يحيى، - واللفظ لأبي الطاهر - قالا أخبرنا ابن وهب، أخبرني يونس، قال ابن شهاب فحدثني أبو سلمة بن عبد الرحمن، عن أبي، هريرة حين قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا عدوى ولا صفر ولا هامة ‏"‏ ‏.‏ فقال أعرابي يا رسول الله فما بال الإبل تكون في الرمل كأنها الظباء فيجيء البعير الأجرب فيدخل فيها فيجربها كلها قال ‏"‏ فمن أعدى الأول ‏"‏ ‏.‏ حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لأَبِي الطَّاهِرِ - قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَحَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ حِينَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا بَالُ الإِبِلِ تَكُونُ فِي الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ فَيَجِيءُ الْبَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ فِيهَا فَيُجْرِبُهَا كُلَّهَا قَالَ ‏"‏ فَمَنْ أَعْدَى الأَوَّلَ ‏"‏ ‏.‏ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) রোগের নিরাময় গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ [5278] অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন‏ পরিচ্ছদঃ ২২৭৪. তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগের নিরাময় আছে ৫২৭৮। হুসায়ন (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগমুক্তির ব্যবস্থা নিহিত আছে। মধু পান করা ও ব্যবহার করা, শিঙ্গা লাগান এবং আগুন (তপ্ত লৌহ) দিয়ে দাগ লাগানো। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে দাগ লাগাতে নিষেধ করছি। হাদীসটি “মারফূ”। কুম্মী হাদীসটি লায়স, মুজাহিদ, ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে فِي الْعَسَلِ وَالْحَجْمِ‏ শব্দে বর্ননা করেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
Total Reply(0)
Md. Mijanur Rahman Khan ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৭ পিএম says : 1
এই লিখাটি আমি বলব এটি একটি অনবদ্য লিখা এখানে অনেক কিছু শেখার আছে বুঝার আছে? ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করব না সর্বপরি আপনার মঙ্গল প্রার্থনা করি! আল্লাহ যেন আমাদের সবাই কে হেফাযত করেন"|
Total Reply(0)
জসিম উদ্দীন ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৭ পিএম says : 2
হে আল্লাহ এ মহামারি হতে সারা পৃথিবীর সকল ঈমানদার মুসলমান কে রক্ষা করু, এবং সকল নাস্তিক কে আপনি যে সকল ক্ষমতার মালিক এ কথা বুঝে ঈমান আনার তৌফিক দান করু, আমীন।
Total Reply(0)
মশিউর ইসলাম ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৮ পিএম says : 2
শুকরিয়া প্রিয় সম্পাদক সাব। অসাধারণ একটি লেখা, পড়ে অনেক উৎসাহ পেলাম। আল্লাহ সারা বিশ্বের মানুষকে রক্ষা কর আল্লাহ।
Total Reply(0)
মোঃ তোফায়েল হোসেন ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০০ পিএম says : 2
আমরা একমাত্র আল্লাহর মুখোপেক্ষী। তিনি কারোর মুখোপেক্ষী নন। এই কথার উপর বিশ্বাস করে যদি আমরা চলতে পারি তাহলে আল্লাহর পক্ষে থেকে রহমত আশা করা যায়, ইনশায়াল্লাহ।
Total Reply(0)
fuad hasan ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০১ পিএম says : 2
মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লিখা। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।
Total Reply(0)
জান্নাতুল নাঈম মনি ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০১ পিএম says : 1
খুবই শিক্ষনীয় একটি লেখা। আসুন আমরা সবাই বেশি বেশি তওবা করি। পাশাপাশি আল্লাহর ইবাদাত করি।
Total Reply(0)
Aftab Ahmed ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০২ পিএম says : 1
respected editor/authority please spread and reprint this article in front page continually until a silent revelation come in our society.
Total Reply(0)
monsur ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০২ পিএম says : 1
আললাহ পাক সবাইকে বুজার তফিক দান করুক । আমিন ।
Total Reply(0)
Md. Sohel Rana ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০৩ পিএম says : 1
লেখাটি থেকে বুঝার অনেক কিছু আছে। আমি মনে করি,করোনা ভাইরাস একটি আশীর্বাদ!!! করোনারভাইরাসকে ঘৃণা করবেন না এটা মানবতা ফিরিয়ে এনেছে মানুষকে তাদের স্রষ্টার কাছে এবং তাদের নৈতিকতায় ফিরিয়ে এনেছে এটি বার, নাইট ক্লাব, পতিতালয়, ক্যাসিনো বন্ধ করে দিয়েছে এটি সুদের হারকে কমিয়ে এনেছে পরিবারের সদস্যদের একসাথে নিয়ে এসেছে অশ্লীল আচরণ বন্ধ করেছে এটি মৃত এবং নিষিদ্ধ প্রাণী খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এখনও পর্যন্ত এর কারণে সামরিক ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যসেবাতে স্থানান্তরিত হয়েছে আরব দেশগলোতে শিশা নিষিদ্ধ করেছে করোনাভাইরাস মানুষকে দুআ করতে বাধ্য করছে এটি স্বৈরশাসক এবং তাদের ক্ষমতাকে তুচ্ছ করেছে মানুষ এখন উন্নতি এবং প্রযুক্তির চেয়ে আল্লাহ/ইশ্বরের কাছে উপাসনা করছে এটি কর্তৃপক্ষকে তার কারাগার এবং বন্দীদের দিকে নজর দিতে বাধ্য করছে এটি মানুষকে শিখিয়েছে কীভাবে হাঁচি এবং কাশি দিতে হয়, যেমনটি আমাদের নবী সাঃ ১৪০০ বছর আগে শিখিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস এখন আমাদের ঘরে সময় কাটানো, সহজ জীবনযাপন করা, অহেতুক প্রতিযোগিতা না করতে শিখিয়েছে। একই সাথে আমাদের চেতনা জাগ্রত করার জন্য এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা ও সাহায্য প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে শুকর জানাচ্ছি। যারা জ্ঞানী তাদের জন্য এতে একটি দুর্দান্ত মুল্যবান শিক্ষা রয়েছে।
Total Reply(0)
আমার সোনার বাংলা ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১০ পিএম says : 1
আল্লাহর দরবারে পানাহ চাই আল্লাহ যেন ইমান ও আমলের সহিত নেক মৃত্যু দান করেন।
Total Reply(0)
Mostafa Zafar Haider ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১০ পিএম says : 1
আল্লাহ পাক মানুষের পাপ মোচনের জন্য সুযোগ দেন। যারা এই সুযোগ নেন তারা মাফ পাবেন আর যারা সংশোধন হবে না সে ধংস হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
Shah Chondon ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১১ পিএম says : 1
আপনার সঙ্গে একমত। পৃথিবীব্যাপী যত অন্যায় হয়েছে আমাদের সামনে সেই অন্যায় গুলোর মানুষ প্রতিবাদ না করায় আজ এই করোনা ভাইরাস, সবাই কে এর ফল গ্রহণ করতে হবে , আজ হোক আর কাল হোক। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করো।
Total Reply(0)
Md Syed Alam ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৭ পিএম says : 1
বর্তমানে করোনা মহামারী মানুষের জন্য আল্লাহর একটি পরীক্ষা। তিনি বলেন, ‘আর অবশ্যই আমরা তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, ধন ও প্রাণের ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে এবং ফল-শস্যাদি বিনষ্টের মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও’। ‘যাদের কোন বিপদ আসলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁর দিকে ফিরে যাব’ (বাক্বারাহ ২/১৫৫-৫৬)।
Total Reply(0)
Md Amin ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৮ পিএম says : 1
হযরত আয়েশা (রাঃ) একবার রাসূল (ছাঃ)-কে মহামারী সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটি হ’ল আযাব। যা আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে চান তার উপর প্রেরণ করেন। আল্লাহ এটিকে মুমিনদের জন্য রহমত স্বরূপ করেছেন। যদি কোন ব্যক্তি মহামারী এলাকায় ধৈর্যের সাথে ও ছওয়াবের আশায় অবস্থান করে এবং তার হৃদয়ে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ যা তাকদীরে লিখে রেখেছেন তাই হবে, তাহ’লে ঐ ব্যক্তি একজন শহীদের ন্যায় ছওয়াব পাবে’ (বুখারী হা/৩৪৭৪)। তিনি বলেন, ‘আমার উম্মতের যে ব্যক্তি মহামারীতে মৃত্যুবরণ করল সে ব্যক্তি শহীদ’ (মুসলিম হা/১৯১৫)।
Total Reply(0)
Jabair Ahammad ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৮ পিএম says : 1
করোনা ভাইরাস মানব জাতির জন্য কেবল আযাব হিসাবে নয়, বরং ইতিমধ্যে রহমত হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে চীনের বায়ুদূষণ কমে গেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, চীনের অত্যাধিক ভাইরাস সংক্রমিত এলাকাগুলোয় কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে গেছে আশ্চর্যজনক হারে। সাধারণত কারখানা ও গাড়ির ধোঁয়া থেকেই বিষাক্ত এ গ্যাস নির্গত হয়। করোনা সংক্রমণের কারণে চীনের সিংহভাগ কলকারখানা বন্ধ, বেশকিছু শহরে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ায় এর সুপ্রভাব পড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশে।
Total Reply(0)
মুফতি আবদুল্লাহ আল মামুন ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২২ পিএম says : 1
আলহামদুলিল্লা। অতি মূল্যবান আধ্যাত্মিক মূল্যায়ন। বিজ্ঞান ও দর্শন কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরার মাধ্যমে আমাদের সবাইকে প্রীত ও মুগ্ধ করার জন্য লেখক মহোদয়কে শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমী।
Total Reply(0)
মুফতি আবদুল্লাহ আল মামুন ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২২ পিএম says : 1
আলহামদুলিল্লা। অতি মূল্যবান আধ্যাত্মিক মূল্যায়ন। বিজ্ঞান ও দর্শন কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরার মাধ্যমে আমাদের সবাইকে প্রীত ও মুগ্ধ করার জন্য লেখক মহোদয়কে শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।
Total Reply(0)
Sheikh Abdullah Al Tamim ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৩৭ পিএম says : 1
হে আল্লাহ্! আমাদের সাথে আপনি আপনার দয়া, বদান্যতা, করুণা, ইহসান ও ক্ষমার আচরণ করুন। আমাদের সাথে বদলা ও হিসাব গ্রহণকারীর ন্যায় আচরণ করবেন না। আপনি নিজগুণে আমাদের প্রতি সদয় হোন। আমরা পাপ ও অনিষ্টতার কারণে- যা আমাদের প্রাপ্য সে অনুযায়ী শাস্তি দিবেন না। হে পরিপূর্ণ দয়া ও উদারতার মালিক, হে মহামহিম ও সম্মানের অধিকারী।
Total Reply(0)
Md Riyadh Hasan Jewel ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৩৮ পিএম says : 1
হে আমাদের রব! আপনি যেমন অনেক কিছুই ক্ষমা করেন তেমনি বাকী অল্পও মাফ করে দিন। হে আল্লাহ্! আপনিই তো আরশের উপরে আপনার নিজের কাছে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন: ( আমার রহমত আমার ক্রোধকে ছাড়িয়ে গেছে। ) অতএব হে আল্লাহ্! আমাদের সাথে আপনি আপনার দয়া, বদান্যতা, করুণা, ইহসান ও ক্ষমার আচরণ করুন। আমাদের সাথে বদলা ও হিসাব গ্রহণকারীর ন্যায় আচরণ করবেন না। আপনি নিজগুণে [পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল] আমাদের প্রতি সদয় হোন, আমরা -পাপ ও অনিষ্টতার কারণে- যা আমাদের প্রাপ্য সে অনুযায়ী শাস্তি দিবেন না; হে পরিপূর্ণ দয়া ও উদারতার মালিক, হে মহামহিম ও সম্মানের অধিকারী।
Total Reply(0)
H M Tamim Khan ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৩৯ পিএম says : 1
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের উপর তাঁর নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করেছেন; যেন আমরা তাঁরই ইবাদত করি, তাঁর সাথে কোন অংশীদার স্থাপন না করি এবং কিতাব ও সুন্নাত মোতাবেক আমল করি। এতেই রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের নিশ্চয়তা এবং যাবতীয় অকল্যাণ ও ক্ষতি হতে সুরক্ষা। আল্লাহ্ বলেন: [ এভাবেই তিনি তোমাদের ওপর তাঁর নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করেছেন, যেন তোমরা আত্মসমর্পন কর।]
Total Reply(0)
Babul Bhuiyan ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪০ পিএম says : 1
যাবতীয় বিপদাপদ হতে সুরক্ষার জন্য আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলই হচ্ছে একমাত্র ঠিকানা ও ঢাল। সেই সাথে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণও শরীয়ত ও বিবেক নির্দেশিত। সুতরাং যে ব্যক্তি শুধুই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার উপরই নির্ভর করল, সে যেন আল্লাহর সাথে শিরক করল। আর যে ব্যক্তি সতর্কতা অবলম্বন করল না সে যেন শরীয়ত ও বিবেক উভয়কেই অস্বীকার করল। তবে এই বিপদকে আল্লাহ্ তায়ালা অচিরেই দূরীভূত করবেন ইনশা-আল্লাহ্।
Total Reply(0)
Babul Bhuiyan ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪১ পিএম says : 1
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগার মতো একটা লেখা। আসলে এমন দুর্যোগের অন্যতম হিকমত হচ্ছে: সৃষ্টির কাছে আল্লাহর সম্মান, তার অপরিসীম ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে প্রকাশ করা; যেন সন্দিহান ব্যক্তির পূর্ণ বিশ্বাস আসে। কেননা এই ভাইরাস খালি চোখে দেখা যায় না, অথচ তা মানবজাতিকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে রেখেছে! মানুষের পাপের কারণে আল্লাহ্ তায়ালা যদি এর চেয়েও শক্তিশালী কিছু চাপিয়ে দেন তাহলে কী অবস্থা হবে? তিনি তো বলেন: [ তোমার রবের বাহিনী সম্পর্কে তিনি ছাড়া আর কেউ কিছুই জানে না। ]
Total Reply(0)
জোহেব শাহরিয়ার ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 1
সমকালীন এই দুর্যোগের অন্যতম হিকমত হচ্ছে: একচ্ছত্র ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী আল্লাহর সামনে মানুষের দুর্বলতা ও অক্ষমতার শিক্ষা লাভ করা। মানুষের কৃতকর্মের কারণে আল্লাহ যদি তাঁর সূক্ষ্ম কোন সৃষ্টি তাদের উপর চাপিয়ে দেন, তারা তা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবে না। আল্লাহ্ বলেন: [ আর কোনো সম্প্রদায়ের জন্য যদি আল্লাহ্ অশুভ কিছু ইচ্ছে করেন তবে তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই। ]
Total Reply(0)
জোবায়ের আহমেদ ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 1
সমকালীন এই দুর্যোগের অন্যতম হিকমত হচ্ছে: একচ্ছত্র ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী আল্লাহর সামনে মানুষের দুর্বলতা ও অক্ষমতার শিক্ষা লাভ করা। মানুষের কৃতকর্মের কারণে আল্লাহ যদি তাঁর সূক্ষ্ম কোন সৃষ্টি তাদের উপর চাপিয়ে দেন, তারা তা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবে না।
Total Reply(0)
বারেক হোসাইন আপন ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম says : 1
ইনকিলাব সম্পাদকের এই লেখার কোনো তুলনা হয় না। আল্লাহ কবুল করুন। করেোনার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে: সন্দেহ পোষণকারীদের নিকটে এই মর্মে প্রমাণাদি প্রকাশিত হওয়া যে, বিশ্ব প্রভু আল্লাহই এককভাবে সৃষ্টিজগতকে পরিচালনা করেন, তিনি একক, এক্ষেত্রে অণু পরিমানও তাঁর শরীক নেই।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৭ পিএম says : 1
আমি এখানে লিখকের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করছি। আমি জানি তিনি এখানে যা লিখেছেন সবই জেনে শুনেই লিখেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা বিষয় তিনি বলেছেন “মানুষ তাঁর (আল্লাহ্‌র) প্রিয় বটে, কিন্তু এতে তারও প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে তিনিই যথেষ্ট”। কথাগুলো অমান্য করার কোন কারন নেই তবে আল্লাহ্‌ এটাও ওনার কিতাবে প্রকাশ করেছেন তিনি বিনা প্রয়োজনে কিছুই করেন না। সে প্রয়োজনটা এখন দেখতে মনে হয় আমাদের জন্যে মানে মানুষের জন্যে ওনার (আল্লাহ্‌র) জন্যে নয় এটাও ঠিক। আবার আমি যদি বলি আমাকে সৃষ্টী করেছেন আল্লাহ্‌ আমাকে টিকেয়ে রাখছেন আল্লাহ্‌ এখন আমি আমাকে মারতে চলেছি তাহলে আল্লাহ্‌ টিকিয়ে রাখবেন কিভাবে? তাই আল্লাহ্‌ এইভাবে করোনা পাঠিয়ে আমাকে যাতে আমি মারতে না পারি তারই ব্যাবস্তা নিয়েছেন এটা যেমন আমার প্রয়োজনে তেমনই ওনার (আল্লাহ্‌র) প্রয়োজনে বলা যায় কারন আমাকে টিকিয়ে রাখাটাই আল্লাহ্‌র প্রয়োজন। সে দিক দিয়ে দেখলে এটা প্রতিয়মান যে আল্লাহ্‌ একের পর এক সৃষ্টি করেছেন প্রয়োজনের কারনেই। লিখক শেষে বলেছেন “করোনাকারনে যে শুভ পরিবর্তনগুলো দেখা দিয়েছে,...” অবশ্যই আল্লাহ্‌ প্রয়োজনের তাগিদেই করোনাভাইরাসের মাধ্যমে মহামারি দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ এরআগেও অনেক মহামারী পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন প্রয়োজনের তাগিদে। দেখুন না আল্লাহ্‌ পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যে সাগরের একটা অঞ্চলকে বরফ বানিয়ে রেখেছিলেন। আমরা কেমিক্যালের যুগে বায়ু দূষন করে সেই বরফ গলাতে শুরু করেছিলাম এর পরিণতি কি ছিল পৃথিবী ক্রমান্বয়ে পানিতে তলীয়ে যেত। কিন্তু এই করোনার কারনে পৃথিবীতে ক্যেমিকেল ছাড়ানো কমে যাওয়ায় সেই বরফ গলা শুধু বন্ধই হয়নি নতুন করে বরফ জমতে শুরু করেছে। এইভাবেই আল্লাহ্‌ প্রয়োজনের জন্যেই পৃথিবীতে এক একটা ঘটনার শৃষ্টি করে থাকেন এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে জানার ও বুঝার ক্ষমতা দিয়ে সেইভাবে চলারও ক্ষমতা দিন। আমিন
Total Reply(0)
ahmed hossain khan ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:২০ এএম says : 1
mohamari mohamari kee ojana ai gojob, manob jati donso hoya jabe jodi sottor bondo na koroo khuda ai mohamari tandob, kutai mura paccena kunu kul, hay provoo tur projader jonno komar dorwaja akkoni khul, tur icca din ai duniar tamam, tur icca din ai fute(mukul) akmam, tur kache aj kintu sobai suhag partee, bosundorar sorbotto jari kory a da doyal corona domon biggoptee,
Total Reply(0)
অানোয়ারুল হক অানোয়ার ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
মাশায়াল্লাহ। মাননীয় সম্পাদক সাহেবের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। মূল্যবান লেখাটি সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী। মহান অাল্লাহপাক উনাকে নেক হায়াত দান করুন।
Total Reply(0)
অানোয়ারুল হক অানোয়ার ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
মাশায়াল্লাহ। মাননীয় সম্পাদক সাহেবের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। মূল্যবান লেখাটি সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী। মহান অাল্লাহপাক উনাকে নেক হায়াত দান করুন।
Total Reply(0)
নূরুল্লাহ ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৭:০৭ এএম says : 0
সম্পাদক সাহেবের অসাধারণ লেখা!ভালো লাগে
Total Reply(0)
নূরুল্লাহ ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৩৮ এএম says : 0
এমন অনবদ্য লেখা আরও চাই প্রিয় সম্পাদক। যেম শব্দচয়ন বাক্যের নির্ঝর তেমনি সুন্দর চিন্তার ঋজুতা। অত্যন্ত বাস্তব সত্য সুন্দরতম বিষয়কে দারুণ ভঙ্গিমায় রাঙিয়ে তুলেছেন। আমরা চাই আপনার আরো লেখা কিন্তু আপনি লিখেন কম।
Total Reply(0)
Try and try ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৬ এএম says : 0
Try and try
Total Reply(0)
Soharab Hossain ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:২৬ এএম says : 0
May Allah bless you, Editor.
Total Reply(0)
jack ali ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৩৪ এএম says : 0
Still 59 so called muslim populated country didn't learned a lesson. They still rule the country by Taghut Law. They are not ruling the country by the law of Allah [SWT]..
Total Reply(0)
মহসিন রাজু ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৬ এএম says : 0
অভুতপুর্ব,অনবদ্য এই লেখার জন্য ইনকিলাব সম্পাদককে অভিনন্দন। ইয়া আল্লাহ ইনকিলাব সম্পাদককে সুস্থ রাখুন। হায়াত দারাজ করুন। সেই সাথে ইনকিলাব পরিবারের সবার মঙ্গল করুন। - আমিন।
Total Reply(0)
A R Sarker ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ২:১৯ পিএম says : 0
ALLAH jaha koren Ter Bander mongoler jonnoi koren. Owanek montobbo somuho porlam. All are right. Manus ALLAH k owanektai vule(forget) giasilo, Koroner maddhome Tini onek bandake Ter dike fire aunlen. Alhamdolillah.
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৪:০১ পিএম says : 0
সম্পাদক মহোদয় আপনাকে শত সহস্র সালাম বিশ্বের মানুষ গুলো অদৃশ্য শক্তিশালী সাহসী ভাইরাসের ভয়ে শৃংখলা পরায়ন হচ্ছেন। নৈতিকতা মানবিকতার নজির সৃষ্টি করছেন। এই ভয়ংকর ভাইরাসের যাত্রাপথ কোথায় পযর্ন্ত য়ায় জানিনা করোনার সাহসিকতার কারণে অনেক রাজা বাদশাহ উজির নাজির রাজপ্রাসাদে নেই। ক্ষমতাধরদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। চীন থেকে সুজা ইউরোপ আমেরিকায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। জ্ঞানে বিজ্ঞানে অহংকারী মানুষ অসহনীয় অসহায়। মধ্যেপ্রার্চর পেট্রো ডলারের শেখদের বালাখানা বন্ধ নৈতিকতা বেহায়াপনা উলঙ্গপনা শেষ সিমা অতিক্রম করে যাচ্ছিলো মানুষ। কথায় কথায় পরাশক্তির আক্রমণ মানুষের মৃত্যুর হোলিখেলার মহানায়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করুন মৃত্যুর মিছিলের জন্য কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। কি শিক্ষা নিবেন??? দক্ষিণ এশিয়াই করোনার আক্রমণ শুরু আন্তর্জাতিক গন মাধ্যমে বিভিন্ন জরিপে ও জাতীয় সংঘের প্রতিবেদন ভয়াবহতার সংবাদে শংকিত বিশ্ব মানবতার মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশের জন মানুষের স্বার্থের জন‍্য নিদর্শনা প্রনোদনা দিয়ে মানুষ কে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন। এর মধ্যে এলিট শ্রেণি বিজিএমইএ গরিবের মত আচরণ করছে। করোনার বিরুদ্ধে পরিপূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়নি মধ‍্য বিত্তরা পর্দার আড়ালে ভিক্ষা নিতে প্রস্তুত। দরিদ্র হত দরিদ্রের জন‍্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মানবতার নজির স্থাপন করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ আইন শৃংখলা বাহিনীর জীবাণুবাহিত জীবাণু যুদ্ধের পরিপূরক আন্তর্জাতিক মানের পোষাক পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই কঠিন অদৃশ্য ভাইরাস পকৃতির দেওয়া অভিশাপ। আল্লাহর জমিনজুড়ে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ শৃংখলা সাবধানতা। মহান প্ররাক্রমশালী আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা। আল্লাহর দুনিয়ার মানুষ আজ মানুষের শ্রেণিতে নেই। রাহমানের রাহিম আল্লাহ এই মুহুর্তে আমাদের সেবাদান কারী ডাক্তার রাজপথের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়োজিত বাংলাদেশের বীর সৈনিকরা অদৃশ্য জীবানু যুদ্ধের মাঠে আমরা জনসাধারণ জীবনের স্বার্থেই আছেন। নিরাপদে আশ্রয় থাকা বাড়িতে লক্ষ কোটি মানুষের দোয়া প্রার্থনা ফরিয়াদ অসংখ্য দোয়া আল্লাহ্ আপনাদের হেফাজতের করুক। আমিন।
Total Reply(0)
Ferdosh Rahman ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 0
অবশ্যই কোন সন্দেহ নেই নিঃসন্দেহে এবং নিশ্চিন্তে মহান আল্লাহতালা পরাক্রমশালী এবং রহমানুর রহিম।
Total Reply(0)
Khairul Bashar ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 0
করোনা ভাইরাস দিয়ে অাাল্লাহ এটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন ধনী এবং গরিব এসবের মালিক অামি এই যে ধনী গরিবে বৈসম্য এখন কিছুটা হলেও কমেছে যেমন যে ১০কোটি টাকার মালিক সে এই বিপদে পমপক্ষে ১কোটি টাকা দান করেছেন এই যে অাকাশ ছোয়া ব্যবধান কিছুটা হলেও কমেছে বড়বড় রাষ্ট গরিব রাষ্টেকে সাহায্য করছে তাঁর কিছুটা হলেও কমেছে তাই অামরা মানবজাতি এখনি বুঝার দরকার অামরা যা কিছু নিয়ে বড়াই করি সবকিছুর মালিক একজন তিনি সৃষ্টিকর্তা
Total Reply(0)
Arif Hossain Joy ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 0
কথা সত্য,আমরা মানবজীতি এই পৃথিবী ডিজার্ভ করি না,আমরা পশুর থেকে অধম
Total Reply(0)
Arafat Talukder ২৭ জুলাই, ২০২০, ৯:২৭ এএম says : 0
খুব সুন্দর লিখেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে উক্ত লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনে প্রয়োগ করার তৌফিক দান করুন। আমীন
Total Reply(0)
Arafat Talukder ২৭ জুলাই, ২০২০, ৯:২৯ এএম says : 0
আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন। এই লেখাটি থেকে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন