টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যামুনসুর গ্রামের আজহারুল ইসলাম নামে এক কৃষকের পাকা ধান কেটে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ধানকাটায় উপজেলা, পৌর, কলেজ ও ভাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়। এদের প্রায় সকলেই রোজা রেখেছেন বলে জানা গেছে।
ধানকাটায় অংশ নেয়া ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম, মির্জাপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মোবারক হোসেন, সহ সভাপতি নাহিদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন -১, সাজ্জাদ হোসেন-২ পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধরণ সম্পাদক মিহির, ছাত্রলীগ নেতা আশিক, অনিক সরকার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুল্যামুনসুর গ্রামের পরিবারগুলোর অধিকাংশই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অন্যদিকে এখন ঝড়-অতিবৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। দেশে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে শ্রমিকের সংকট থাকায় ধান কাটতে বেশ সমস্যায় রয়েছেন কৃষকেরা।
মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কৃষকদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে মির্জাপুরেও কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি আমরা।’ তিনি জানান, দুল্যা মুনসুর গ্রামের এক কৃষকের ২০শতাংশ জমির ধান কেটে তাঁর ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় মির্জাপুরেও কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।নেত্রীর নির্দেশে মির্জাপুরের ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক বলেন, এই সময়ে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া কঠিন। সেই সময়ে উপজেলা ছাত্রলীগ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ তাদের আমি সাধুবাদ জানাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন