সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী রাজধানী ঢাকার দুটি বাড়িতে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফ করে দেশে আলোচিত হন।এবার তিনি তার নিজ এলাকা বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় (কুমিল্লা-৫) অসহায়, কর্মহীন, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া ৫শত পরিবারের মাঝে সাড়ে ছয় টন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
খাদ্যসামগ্রীর সাথে কিছু নগদ অর্থও দেন তিনি। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ঢাকা বিভাগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সারাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। ফলে বিপাকে পড়েছে অসহায়, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন গ্রামে সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ৫০০ পরিবারের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী (ত্রাণ) পৌঁছে দেন।
তিনি টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, নিজে উপস্থিত হতে না পারার কারণে সেচ্ছাসেবী ও তার ফেসবুকে গঠিত ত্রাণ কমিটির তত্বাবধানে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৫০০ পরিবারের মাঝে সর্বোচ্চসংখ্যক খাদ্যসামগ্রী (অর্থাৎ ৬.৫ টন) ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করেছি। অনেক প্রবাসী যারা বেকার হয়ে প্রবাসে এবং দেশে আছেন, তাদের পরিবারকে এবং চক্ষু লজ্জায় যারা ত্রাণ নিতে পারে না, তাদের অনেককেই গোপনে আর্থিক অনুদান দিয়েছি।
তিনি গত মাসে প্রথম ঢাকায় দুই বাড়ির ভাড়াটিয়ার বাড়িভাড়া মওকুফ করে সারাদেশে আলোচনায় আসেন। তার দেখানো পথে অনেকেই পরে তাদের বাড়িভাড়া মাফ করেন।
তিনি আরো বলেন, এই মহামারীতে চলে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। কিন্তু এবার মহামারী করোনার কালো ছায়ায় বিলীন হয়েছে সকল আনন্দ উৎসব আমেজ। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষরা ঘরে থাকায় অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে লজ্জায় চাইতে পারছেন না। এমন সময়ে তাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। ফেসবুকের গ্রুপে ত্রাণ কমিটিকে সফলভাবে বিতরণ সম্পন্ন করতে সহায়তা করায় তিনি ধন্যবাদ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন