করোনা দুঃসময়ে ঘুরেফিরে কয়েকজন নেতাকেই কাছে পাচ্ছেন চাটগাঁবাসী। বেশির ভাগ এমপি নেতা যখন স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে তখন তারা অসহায়দের পাশে। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সুরক্ষায় তারা নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ।
এই কারণে চট্টগ্রামে এখন আলোচনায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, এম এ লতিফ এমপি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। তাদের ভূমিকায় খুশি মানুষ। ঢাকার পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামেও সক্রিয় আছেন। তার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনীয়ায় ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চলছে। তার নির্দেশে সেখানে কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন ছাত্ররা। শুরু থেকেই করোনা টেস্ট, চিকিৎসার ঘাটতি পূরণে সক্রিয় মহিবুল হাসান চৌধুরী। আইসিইউ সুবিধা নিশ্চিতেও কাজ করেন তিনি। অসহায়দের মাঝে ত্রাণসামগ্রীও বিলি করছেন।
ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ‘বঞ্চিত’ মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা কমিটির আহবায়ক তিনি। স্বাস্থ্যবিভাগ, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বিত কার্যক্রম চলছে তার নেতৃত্বে। কর্পোরেশনের উদ্যোগে ত্রাণবিতরণ চলছে। ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও ত্রাণসহায়তা অব্যাহত রেখেছেন মেয়র। হলি ক্রিস্টেন্ট হাসপাতাল করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয়েছে তার উদ্যোগে।
বন্দর-পতেঙ্গা আসনের এমপি এম এ লতিফ পাঁচটি আইসোলেশন সেন্টার খুলেছেন। অসহায় এবং ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের দিচ্ছেন সহায়তা। দরিদ্রদের জন্য তার ‘সুপার ফুড’ কর্মসূচি সাড়া ফেলেছে। রোজার প্রথমদিন থেকে ইফতারের আগে রান্না করা খাবার বিলি চলছে বন্দর-পতেঙ্গার শ্রমজীবীদের মাঝে। গরিবদের জন্য ২০ টাকায় ১০০টি ডিমের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। চট্টগ্রামে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার ঘাটতি পুরণে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাথে সমন্বয় করছেন বিপ্লব বড়ুয়া। তার পক্ষে সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় ত্রাণ তৎপরতাও চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন