শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

খুলনাঞ্চলে সুপেয় পানি সঙ্কট

আবু হেনা মুক্তি : | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২০, ১২:০৪ এএম

গত বছরের তুলনায় এবার বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে পানির স্তর আরো নিচে নেমে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট। প্রচন্ড তাপদাহে কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর এ অঞ্চলের নদ নদীতে এখন লবণ পানি। যে কারণে সে পানি ব্যবহার করতে পারছে না আমজনতা। অতি দরিদ্ররা লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খুলনাঞ্চলের কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা এবং বাগেরহাটের শরণখোলা মংলা ও রামপাল উপজেলা এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা উপকূলীয় এলাকার মানুষের দিনে জনপ্রতি ৩ লিটার হিসাবে প্রতি পরিবারে মাসে প্রায় সাড়ে তিনশ লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু তা বিশুদ্ধ পানি দিয়ে কোনভাবেই মেটানো যাচ্ছে না।
অপরদিকে, খোদ খুলনা মহানগরীতে প্রতিদিন ১১ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৪০ শতাংশ সরবরাহ করছে ওয়াসা। কিন্তু সম্প্রতি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামায় হিমশিম খাচ্ছে সংস্থাটি। মহানগরীর টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। সাবমার্চিবাল টিউবওয়েল যাদের আছে তারাই শুধু পানি উঠাতে পারছে। নগরীতে বসবাসকারি ১৬ লাখ মানুষের অর্ধেকেই পানির বিড়ম্বনায় চরমভাবে জর্জরিত। সরেজমিনে জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা, গোবরচাকা, শেখপাড়া, বসুপাড়া, ফারাজিপাড়া, মির্জাপুর রোড, বাইতিপাড়া, আহসান আহমেদ রোড, টুটপাড়া, পশ্চিম বানিয়াখামার ও বাবু খান রোড এলাকায় পানি সমস্যা বেশি।
পানি গবেষক শামীম আরেফিন ইনকিলাবকে বলেন, পানির স্তর নিচে নামায় সমস্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিবেশ ও পরিবেশ বিবেচনায় এনে দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত বাস্তবায়িত করতে পারলে উপকুলীয়াঞ্চলের পানি ব্যবস্থাপনার অন্তরায়গুলো অবসান হতো। এদিকে শুস্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের নদ-নদীতে বাড়ছে চরম লবনাক্ততা। মিষ্টি পানির প্রবাহ অনেক নদীতেই থাকছে না।
খুলনা ওয়াসার পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আগামী বছর আমরা সমস্যার অনেকাংশে সমাধান করতে পারব। ওয়াসার পুরনো লাইনের সংযোগ শহরের অনেক স্থানে নেই। সেখানে ব্যক্তিগত নলকূপগুলোতেও পানি পাওয়া যায় না। ফলে নগরীতে পানি সঙ্কট বেড়েছে। তবে ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ আগামী জুন মাসে শেষ হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন