দেশে রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সাড়ে ১০ মাসে সর্বোচ্চ ৬১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি হয়। যা আগের অর্থবছরের ১২ মাসের চেয়ে প্রায় সাত লাখ টন বেশি।
চট্টগ্রাম বন্দরের পথে আরো বেশ কয়েকটি চালান। বিশ্ববাজারে গমের দাম পড়তি। ফলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা এই খাদ্যপণ্যের আমদানি ব্যয়ও কমেছে। গমের রেকর্ড আমদানিতে দেশে করোনা মহামারী দুর্যোগে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্যমতে, গত পাঁচ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের সাড়ে ১০ মাসে রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি হয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৭ মে পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৩৬৮ মেট্রিক টন। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১২ মাসে গম আমদানি হয়েছিল ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৫১ মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ ছিলো ৫১ লাখ ২০ হাজার টন।
কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা জানান, রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি হওয়ার পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় আমদানি ব্যয়ও কমেছে। চলতি বছরে টন প্রতি আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ২১ হাজার ৪৮০ টাকা। গত বছর একই সময়ে টন প্রতি গড়ে ২৩ হাজার ২২০ টাকা দরে আমদানি হয়েছিল।
অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে টন প্রতি আমদানি ব্যয় ১৭৪০ টাকা কমেছে। মণপ্রতি কমেছে প্রায় ৭০ টাকা। আমদানিকৃত গমের সিংগভাগ চালানই আসে কানাডা, রাশিয়া, ইউক্রেন, আর্জেন্টিনা, ভারত ও ইতালি থেকে। সে সব দেশে গত জানুয়ারি থেকে গমের দাম পড়তি। এদিকে রোজার শুরুতে আটা, ময়দার দাম কিছুটা বাড়লেও এখন তা কমতে শুরু করেছে বলে জানান দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি বেশি হয়েছে। বিশ্ববাজারে দামও কমে গেছে। লকডাউনের কারণে হোটেল রেঁস্তোরা টানা বন্ধ থাকায় আটা ময়দার চাহিদাও কিছুটা কমছে। এ অবস্থায় দাম পড়ে যাবে। আবার আমদানি বেশি হওয়ায় দেশে ঘাটতিরও কোন আশঙ্কা নেই।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সোলাইমান বাদশা বলেন, পাইকারি বাজারে গমের দাম পড়তে শুরু করেছে। মানভেদে প্রতিমণ ৮৪০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন