বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধস নেমেছে। অর্থ বছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে ছিল বেনাপোল কাস্টমস। আর করোনায় রাজস্ব আহরণ অর্ধেকে নেমেছে। অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল। সে সময় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। কাস্টমস সূত্র জানায়, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছিল চার হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, উচ্চ শুল্কহারের পণ্য ভারত থেকে আমদানি কমেছে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ এবং উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতির কারণ বলে মনে করেন তারা।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, বেনাপোল দেশের বড় স্থলবন্দর হলেও এর কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না। বাণিজ্য প্রসার করতে হলে বৈধ সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা দরকার। সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা প্রয়োজন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, করোনার প্রভাবে গত আড়াই মাস ধরে আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণে। আর উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে গেছে। তাছাড়া পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় এক শ্রেণির লোক সিন্ডিকেট তৈরি করে ট্রাক আটকে বড় ধরনের চাঁদাবাজি করছে। ফলে আমদানিকারকদের মোটা অঙ্কের লোকসান হচ্ছে। করোনার প্রভাব না থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করা সম্ভব ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন