বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কয়রায় নোনা পানিতে ভাসছে অর্ধশত গ্রামের মানুষ

মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

খুলনার কয়রা উপজেলার অর্ধশত গ্রামের মানুষ কপোতাক্ষ নদের নোনা পানির নিচে টোকা শেওলার মত ভাসছে। অথচ সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছে না প্রকৃত বানভাসীরা। লুটে-পুটে খাচ্ছে স্থানীয় দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিরা। সরকারি ও বেসরকারি থেকে আসা সকল ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ চলে যাচ্ছে ঐ সকল লুটেরাজদের আত্মীয়দের পকেটে।

জানা যায়, গত ২১ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে কয়রার ৪টি ইউনিয়নের ১৪টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে নোনা পানি প্রবেশ করে। এর ফলে উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম তলিয়ে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১২টি বাঁধ আটকাতে সক্ষম হলেও ২টি বাঁধ অরক্ষিত। প্রায় এক মাস পর অরক্ষিত ২টি বাঁধের মধ্যে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের হাজতখালী বাঁধটি (ক্লোজার) কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ এসএম শফিকুল ইসলামের আহবানে পাশের সাতক্ষীরা জেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদ্বয়ের সহযোগিতায় ৮/১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের অংশগ্রহণে আটকানো সম্ভব হয়। কিন্তু উত্তর বেদকাশীর গাজীপাড়া নামক বাঁধটি সেই থেকে আজও পর্যন্ত আটকানো সম্ভব হয়নি। ফলে মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের হাজতখালী, গাজীপাড়া, শেখ ও সরদার পাড়া, কাঠমারচর, কাছারিবাড়ি, বড়বাড়ি গ্রাম এবং কয়রা ইউনিয়নের ২নং কয়রা গ্রামটিতে নোনা পানির জোয়ার ভাটা চলতে থাকে।

এরই মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রাথমিকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আটকানো বাঁধগুলোতে আর কোন কাজ না করায় গত ২০ আগস্ট হঠাৎ উপচেপড়া জোয়ারের স্রোতে বাঁধগুলো পুনরায় ভেঙে ২নং কয়রা, হরিণখোলা, ঘাটাখালী, গোবরা, দ.মদিনাবাদ, ১নং কয়রা, ৩নং কয়রা, কয়রা সদরসহ পাশের উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নটি নোনা পানিতে ভেসে যায়। ডুবে যায় আমন বীজতলা, মাছের ঘের, খাল, পুকুর, হাজার হাজার বসত ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপজেলা পরিষদ এলাকা। ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন