দশ
৪। দাসত্বের গোলক ধাঁধা থেকে স্বাধিকার : দাসত্বের পরাধীনতা মানবেতিহাসের এক চরম অমানবিক ও অবমাননাকর অধ্যায়। এর প্রচলন ছিল বিশ্বব্যাপী এবং ১৮৯০ সালে ব্রাসেলসে দাস-ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ কনফারেন্সের আগ পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচরণ করা হয়নি। “মানব প্রকৃতি অপরিবর্তনীয়”Ñ এ দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে প্লেটো ও এরিস্টোটল থেকে শুরু করে আঠারো শতকের অধিকাংশ দার্শনিক দাসপ্রথাকে সমর্থন করেছেন। দাস প্রথা সম্পর্কে এরিস্টোটলের মতামত উল্লেখ করে অনফঁষষধয কধহহড়ঁস বলেছেন- ‘’ওহ যরং ড়ঢ়রহরড়হ, সধহশরহফ পড়হংরংঃবফ ড়ভ ঃড়ি পধঃবমড়ৎরবং ঃযব ভৎবব ধহফ ঃযব ংষধাবং ধহফ ঃড় যরস ংড়সব ঢ়বড়ঢ়ষব বিৎব ংষধাবং নু ঃযবরৎ াবৎু হধঃঁৎব. ‘’কধহহড়ঁস, অনফঁষষধয রংষধস রং ঃযব ভরৎংঃ অহঃর-ঝযধাবৎু জবষরমরড়হং ঝুংঃবস ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ. ঞযব ওংষধসরপ জবারবি ঔড়ঁৎহধষ. ডড়ৎশরহম ঝঁৎাবৎু, ঊহমষধহফ, ঔঁষু-অঁমঁংঃ ১৯৬৬, চ. ৩৭. গ্রীক, রোমান, পারসিক প্রভৃতি প্রাচীন সভ্যতাসমূহে ইহুদী, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও সনাতন হিন্দু ধর্মে এমনকি আধুনিক ইউরোপ ও আমেরিকাতেও প্রথমদিকে দাস প্রথা স্বীকৃত প্রথার মর্যাদা পায়। ‘‘আহমদ, মুহাম্মদ শফিক ও মুহাম্মদ রুহুল আমীন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬০’’ এ থেকে অনুমিত হয় যে, এ প্রথাটির নৈতিকতা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রাথমিক কৃতিত্ব মহানবী সা. এরই প্রাপ্য।
মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মদ সা. সেই সপ্তম শতাব্দীতেই এ প্রথার বিরোধিতা ও এর বিলুপ্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। তাঁর দর্শন ছিল, সমগ্র মানব জাতি একজন নারী ও পুরুষ থেকে উদ্ভ‚ত, সুতরাং জন্মগতভাবে সকল মানুষ সমান ও স্বাধীন।
তিনিই সর্বপ্রথম দাসমুক্ত করেন এবং দাসমুক্ত করাকে বিশেষ সওয়াবের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করলে সাহাবীদের মাঝে দাস মুক্তির হিড়িক পড়ে যায়। স্বয়ং নবী সা. ৬৭ জন, আবূ বকর রা. অসংখ্য, ওমর রা. এক হাজার, আবদুর রহমান ইবনে আওফ রা. ত্রিশ হাজার দাস-দাসীকে মুক্তি দান করেন। মানুষে মানুষে এই সমতা বিধানের মহত্তম আদর্শ দেখে মুগ্ধ হয়েAbdullah Kannoum e‡j‡Qb- ‘’In his opinion, mankind consisted of two categories the free and the slaves and to him some people were slaves by their very nature. ‘’Kannoum, Abdullah islam is the first Anti-Shavery Religions System of the world. The Islamic Review Journal. Working Survery, England, July-August 1966, P. 37. ‘‘রহমান, মুহাম্মদ মতিউর, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৯.
বর্তমানে দাসত্ব তথা দাস প্রথা উচ্ছেদ করার কথা সভ্য সমাজ মুখে বললেও এটিকে তারা বাস্তবে জিইয়ে রেখেছে। আমিরিকা তার সভ্যতা বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে, বহুতল বিশিষ্ট অট্টালিকা, সুরমা জনপদ, প্রশস্ত সড়ক, বিশালাকার শিল্প-কারখানা ইত্যাদি নির্মাণে আফ্রিকা থেকে বহুসংখ্যক দাস আমদানি করে। সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং কিছুটা ভিন্ন আকারে। ১৭৭৬ সনের ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা বলতে গিয়ে ঈষধঁফব গ. খরমযঃভড়ড়ফ বলেন- ‘Claude M. Lightfood e‡jb- ‘’Black remained slaves until about 80 years later, women did not recieve the right to vote unitl 112 years later and the working class did not get the legal right to organinse and collectively bargain 150 years later. ÔÔcÖv¸³ÕÕ
cÖL¨vZ cÖvP¨we` Bosworth Zuvi ‘’Mohammed and Mohamadanism’’ MÖ‡š’ e‡jb- ‘’It recognised individual and public liberty, secured the person and property of the subjects and postered the growth of all civic virtues. It communicated all the privileges of the conquering class to those of the conquered who conformed of its religion, and all the protection of citizenship to those who did not, It put anend to old customs that wrere of immoral and criminal charcter. It abolished the inhuman costom of buryinh the infant daughters alive, and took effective measures for the suppression of the salve- traffic. ‘‘প্রাগুক্ত’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন