শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

প্রশ্ন : আমার আব্বা নেই। আমরা দুই ভাই। একটি বাড়ি আছে। একটি দোকান আছে ভাড়া দেয়া। আম্মা শিশুদের স্কুলে সামান্য সম্মানীতে শিক্ষকতা করেন। আমাদের আয় খুবই কম। এ অবস্থায় আমাদের ওপর কি কোরবানি ওয়াজিব?
উত্তর : বোঝা যায়, আপনাদের সবাই এখনো একসাথেই আছেন। ভাইদের কেউই উপার্জনশীল নন। আম্মার সামান্য আয়ে সংসার চলে বলে মনে হয়। সাথে দোকান ভাড়াও আছে। যদি জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ এক জাকাতবর্ষ আপনাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত; তাহলে সবারই জাকাত ফরজ হতো। আর যদি এ পরিমাণ সম্পদ ঈদুল আজহার দিনে কারো হাতে থাকে তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
বসতবাড়ি, পতিত জমি ও ভাড়া দেয়া দোকান জাকাতের আওতায় পড়ে না। তবে নগদ টাকা, ব্যবসা পণ্য, স্বর্ণ-রূপা, (ফিতরা ও কোরবানির ক্ষেত্রে আসবাবপত্র) সব মিলিয়ে যদি কারো হাতে নেসাব পরিমাণ (সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য কিংবা সমমূল্যের টাকা পয়সা) থাকে তাহলে সে কোরবানি দিবে। জাকাতবর্ষ পার হলে জাকাত দিবে। এখন আলাদা আলাদা করে আপনাদের তিনজনের আর্থিক অবস্থা নিজেরাই বিবেচনা করে দেখুন, আপনাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব কি না। কেননা, মানুষের ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা কেবল সে নিজেই জানে।
প্রশ্ন : বিধর্মীদের উৎসবে চাঁদা দান বৈধ কি না। এখন বিষয়টি প্রায় নরমাল হয়ে গেছে। উৎসব এলেই চাঁদা তোলা হয়। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি চাঁদা দানে উৎসাহ দেন। ইসলাম এ বিষয়ে কী বলে?
উত্তর : বিধর্মীদের পূজা উপসনায় চাঁদা দেওয়া নিষিদ্ধ ও ঈমানের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এতে শিরকের মধ্যে অংশগ্রহণ হয়ে যায়।
তবে, তাদের ধর্মীয় বিষয় ছাড়া সামাজিক ও মানবিক কোনো কাজে চাঁদা দেওয়া যায়। যারা উৎসাহিত করেন, তাদের ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব রয়েছে। দীনি শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে তাদেরকে বোঝাতে হবে। জনগণকেও শিরকের মধ্যে অর্থ সাহায্য দেওয়া আর মানবিক কারণে সাহায্য দেওয়ার মধ্যকার পার্থক্যটি বোঝাতে হবে। খেয়াল রাখা উচিত যে, শিরকওয়ালা ধর্মের সাথে যুক্ত উৎসবও শিরকের অংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন