নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে শিগগির আদালতে দায়িত্বে অবহেলার মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) তিনি বলেন, ‘তদন্তে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। সেগুলো সমন্বয় করেই একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও নির্ভুল তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির জন্য কাজ করছি। আশা করছি, শিগগিরই এ মামলার চার্জশিট আদালতে দেওয়া হবে।‘
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মসজিদে বৈদ্যুতিক মিটার, মসজিদের নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইন দেখার দায়িত্ব ছিল যাদের ওপর, তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেননি। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা সহজে এড়ানো যেত। গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল। তাই দুর্ঘটনার দায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ওপরও বর্তায়। আবার লাইনের ওপর দিয়ে মসজিদ নির্মাণের দায়ও মসজিদ কমিটি এড়াতে পারে না। মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়মিত দেখভাল করা দরকার ছিল। তাহলে হয়তো বিদ্যুতের স্পার্কের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটত না। এসব বিষয় খতিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে চার্জশিটে ২০ জনকে আসামি করার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত শেষ হলে আসামির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
মসজিদে বিস্ফোরণের পর তিতাস, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত কমিটি করে। ইতোমধ্যেই ফায়ার সার্ভিস তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। পাশাপাশি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষও তদন্ত শেষ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়িত্বে অবহেলার মামলা দায়ের করে ফতুল্লা থানায়। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে ন্যস্ত করা হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৩৯ জন দগ্ধ হন। এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ৩৪ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন