পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মাধবখালী ইউনিয়নের পূর্ব চৈতা গ্রামে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ মহাসড়কে বক্স কালর্ভাট গিরে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেন মোঃ জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
সোমবার (৯ নভেম্বর ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , কালর্ভাটের ৮০% গিরেই স্থপনা নির্মাণ করা হয়েছে এবং কালর্ভাটির অপর পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে রাখেন ঐ ব্যক্তি। কৃষকদের জমি চাষের সুবিধার্থে লক্ষাধীক টাকা ব্যায় করে কালর্ভাট নির্মাণ করা হলেও কৃষকদের কোন কাজে আসছে না।
নাম প্রকাশে অনুইচ্ছুক ভূক্তভুগি কৃষকরা জানান, স্থাপনা নির্মানকারী প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার এমন অবৈদ ভাবে স্থাপনা করলেও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেই। কালভার্টটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের সময় যেমন পানি পাওয়া যায় না তেমনী অতি বৃষ্টি হলে কৃষি ভূমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির ফলে কৃষি কাজে ব্যঘাট ঘটে। তাই সঠিক সময়ে চাষা বাধে অনেক ভোগান্তী পোহাতে হয়।
স্থাপনা নির্মাণকারী ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার রানীপুর গ্রামের বাসিন্ধা এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলার চৈতা মোল্লা বাড়ী গ্রামের জামাই । এবং ঢাকায় ব্যবসায়ী হওয়ায় নির্মানাধীন ভবন দেখাশুনা করেন তার সুমন্দি কামাল মোল্লা। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বক্সকালর্ভাটি নির্মানের সময় বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দেওয়ার পরেও অভিযোগের গুরুত্ব না দিয়ে কালভার্ট নির্মান করেন কর্তৃপক্ষ। এখানে আমাদের জমি আছে তাই বিল্ডিং করি তাতে দোষের কী।
সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, কালভার্ট দখল করে স্থাপনা নির্মান বেয়াইনী । সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
মাধবখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনির ইসলাম তালুকদার জানান, কৃর্ষকদের অভিযোগ পেলে রোর্ডস এন্ড হাইওয়ে অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুলা জেলা রোর্ডস এন্ড হাইওয়ের সার্ভেয়ার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কালর্ভাটির প্রয়োজন আছে বলেই করা হয়েছে, তবে কেউ স্থপনা নির্মান করলে উর্ধতন কর্মকর্তার পরামর্শ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন