প্রশ্ন : একটি ছেলে একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেছে। দু’জন অমুসলিম এ বিয়েতে সাক্ষী ছিল। এটা শরীয়ত মোতাবেক সঠিক হলো কিনা, জানতে চাই।
উত্তর : গোপনে কোনো বিয়ে হওয়াই ঠিক নয়। কেননা, বিয়ের ঘটনাটিকে যথাসম্ভব ফলাও প্রচার করার নির্দেশ ইসলামে রয়েছে। যাতে গোপনে কোনো দুষ্কর্মকে কেউ বিয়ের নামে চালিয়ে দিতে না পারে। আর এ ধরনের গোপন বিয়ে এড়ানোর জন্যেই কমপক্ষে দু’জন সাক্ষীর শর্ত বিয়ে সঠিক হওয়ার জন্য জুড়ে দেয়া হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে অমুসলিমদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিয়েটি শুদ্ধ হয়নি। যথাসম্ভব দ্রুত তাদের মুসলিম সাক্ষীর উপস্থিতিতে মোহরানা ঠিক করে বিয়ে করতে হবে।
প্রশ্ন : ফেরাউন শব্দের অর্থ কি? বিভিন্ন নবীর সময় ফেরাউনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তারা কি সবাই একই ব্যক্তি না ভিন্ন ভিন্ন?
প্রশ্ন : আমার ছেলে আমেরিকায় থাকে। নিয়মিত নামাজ পড়ে না। বললে পড়ে, আবার ছেড়ে দেয়। শুনেছি মাঝে মাঝে মদও পান করে। তার পাঠানো টাকায়ই আমি চলি। আমার কী করা উচিত? কবরের আজাব থেকে আমি রক্ষা পাবো কি না?
উত্তর : আপনার জন্য ছেলের পাঠানো টাকা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ জায়েজ। যদি সে নামাজ না-ও পড়ে, মাঝেমধ্যে মদও পান করে। যদি আপনি তার উপার্জন হালাল হওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান না হন, তাহলে নির্দ্বিধায় তার টাকা ব্যবহার করবেন। যদি তার কামাই হালাল-হারাম মিশ্রিত হয়, তাহলে আপনি হালাল অংশ থেকে নিচ্ছেন ভেবে তার টাকা নিন। নামাজের জন্য তাকে বলতে থাকুন, মদ পান না করার জন্যও নরম স্বরে উপদেশ দিন। দিল খুলে আল্লাহর নিকট তার সুমতির জন্য দোয়া করুন। চেষ্টা করুন, যেন সে সৎসঙ্গ গ্রহণ করে। পিতার দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন। দ্রুত না হোক, দু’দিন পর। আপনার দোয়া বৃথা যাবে না। কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকুন। অতীত গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকুন। বিশেষ করে রোজা ও কোরআন তিলাওয়াত কবরকে আলোকিত রাখে। ওজু-গোসল ঠিকমতো না করলে কবরের আযাব হয়। এসব খেয়াল করে চলুন, ভালো আলেমের সঙ্গ ও উপদেশ নিয়ে চলতে থাকুন। ছেলেকে তার নাবালক অবস্থায় ইসলামি মূল্যবোধ শিক্ষা না দিয়ে থাকলে তার বর্তমান ভুলত্রুটির জন্য আপনাকেও কিছু গুনাহের দায় নিতে হবে। এ জন্য তওবা ও সংশোধনের ব্যবস্থা নিন। আর আপনি ছোটবেলা চেষ্টা করে থাকলে বর্তমানে আপনার আর কোনো গুনাহ হবে না। বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে তাদের গুনাহর দায় তারাই বহন করে থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন