শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোবিন্দগঞ্জে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে ষোড়শী গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ২

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১২ পিএম

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে বান্ধবীর বাড়িতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক ষোড়শী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মূল আসামী সহ ধর্ষণ ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে ধর্ষিতা ষোড়শীর কথিত বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী বেগম একটি বেসরকারি কারখানায় চাকুরীর কারণে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। একই বাসায় ভাড়া থাকতেন ধর্ষণের শিকার ষোড়শ। দীর্ঘদিন একই বাড়িতে থাকার সুবাদে আদুরী বেগমের সাথে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই একপর্যায়ে আদুরী বেগম বান্ধবীকে বেড়ানোর কথা বলে গত মাসের ২৭ তারিখে তাঁদের গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসে। সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করায় আদুরীর দুরসম্পর্কের দুলাভাই সোহেলের সাথে ষোড়শীর সখ্যতা গড়ে ওঠে।
গত শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ষোড়শী মেয়েটিকে বাড়িতে যাওয়ার বাসে তুলে দেয়ার কথা বলে তাঁকে সাথে নিয়ে সোহেল মোটরসাইকেলে করে বেড়িয়ে যায়। এরপর সোহেল ওই কিশোরীকে নিয়ে সারাদিন বিভিন্নস্থানে ঘোরাফেরা শেষে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে ৪/৫জন সহযোগী সহ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে উপজেলার বালুয়া বাজার বাংলা লিংক টাওয়ারের সামনে ওই ধর্ষিতাকে রেখে পালিয়ে যায় সোহেল। স্থানীয়রা মেয়েটিকে একা দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাকে ধর্ষণের পর সেখানে রেখে যাওয়া কথা জানায় সে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের ভাই, ধর্ষিতার বান্ধবী আদুরী ও তাঁর মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর ধর্ষকের ভাই এবং আদুরী বেগমের মাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মিলন কুমার চ্যাটার্জী জানান, শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গোবিন্দগঞ্জ পশ্চিম চৌমাথা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামী সোহেল (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ভগবানপুর গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার মূল আসামী সোহেল এবং সহায়তাকারী আদুরী বেগমকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি আরও জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন