‘ওমা অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে কি দেখেছি মধুর হাসি’ কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের এ অংশটুকুর বাস্তবতার পুরোপুরি দেখা মিছে পাবনার চাটমোহরে কৃষকের পাশে ধান ক্ষেতের খুব কাছাকাছি গেলে।পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের মাঠজুড়ে কৃষকের আবাদ করা আমন ধান ক্ষেতের এমন দৃশ্য সত্যিই মুখে হাসি ফোটাচ্ছে কৃষকের। অগ্রহায়নের ঝলমলে আকাশ। মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দুলছে। বাতাসে হিমগন্ধে শীতের মাঠজুড়ে সোনারঙা ধানের ছড়াছড়ি। আমন ধানের চনমনে সুগন্ধে মাতোয়ারা চারিদিক। মাতোয়ারা কিষাণ-কিষাণী। চলনবিল অঞ্চলের কৃষক এখন ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত। কোমর বেঁধে কৃষক ও কৃষি শ্রমিক ধান গাছের গোড়ায় চালাচ্ছে কাস্তে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা,মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষক। এবার ধানের দাম বেশী পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষক। কৃষকের আঙিনায় গড়াগড়ি খাচ্ছে নতুন ধান। গ্রামের মাঠে মাঠে আমনের ম-ম গন্ধ। সবাই মেতে নব-অন্নের ঘ্রাণে। চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে চলছে আমন ধান কাটার উৎসব। ফলনও ভালো। মৌসুমের শুরুতে হাটে আগাম ধানের দামও মিলছে ভালো। হিসাব করে এবার লাভের কথাই বলছেন চাষী। নবান্নে আনন্দে ধান কাটার ধূম পড়েছে। চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলার কৃষক আকতার হোসেন জানান, আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরাপুরি ধান কাটা শুরু হবে। কৃষক মতিউর রহমান জানান, এবার ধানের ফলন ভালো। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুমবিল্লাহ জানান, বন্যায় আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক দামও ভালো পাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন