মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চরে এক গৃহবধূর সহযোগিতায় আরেক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। রাতেই পুলিশ ধর্ষণে জড়িত ও সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত গৃহবধূ আখি আক্তার ও সুবল মন্ডল ওরফে সুমন মোল্লা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে পাচ্চরের বাখরের কান্দি পুনর্বাসন কেন্দ্রের শাহিন হাওলাদারের একতলা বাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় তারা অনৈতিক কাজ করতো এবং পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে অসহায় নারীদের ফুসলিয়ে বাসায় নিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন। গত শনিবার বিকেলে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ওই বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত আখি আক্তারসহ পাঁচ ব্যক্তি। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে বিকেল পর্যন্ত দুই দফায় তাকে ধর্ষণ করে একাধিক ব্যক্তি। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুখ বেঁধে ইজিবাইকে করে পুনরায় ধর্ষণের জন্য অন্যত্র নেয়ার সময় কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ইজিবাইকটির পথরোধ করে। এসময় ইজিবাইকে থাকা আসামিরা পালিয়ে গেলে গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। রাতে শিবচর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী এক নারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শিবচর থানায় আখি আক্তার, সুবল মন্ডল ওরফে সুমন মোল্লা, সোহেল, এসকান ও অটোরিকশা চালক সোহাগ হাওলাদারের নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আখি আক্তার ও সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন