প্রশ্ন : আমি ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থাকি, ঘরের একটি অংশে নামাজ ও ইবাদতের জন্য জায়গা রাখতে হয় শুনেছি। কিন্তু আমার বাসায় তেমন ব্যবস্থা নেই। যাদের বাসায় জায়গা আছে, তারা কি বেশি সওয়াব পাবেন?
উত্তর : কুরআন ও হাদিসে নামাজের গুরুত্ব এত বেশি যে, মনে হবে মানব জনমের উদ্দেশ্যই নামাজ পড়া। পুরুষের জন্য জামাতে নামাজ পড়া উত্তম। মসজিদে গিয়ে জামাত পড়া সাধারণ নিয়মে ওয়াজিব। তবে ফরজ ছাড়া বাকি সব নামাজ বাড়িতে পড়া উত্তম। মহিলাদের তো ঘরের কোণে আড়াল জায়গায় নামাজ পড়ার হুকুমই আছে। নারী-পুরুষ সবার জন্যই আলাহর রাস‚ল সা. এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা ঘরবাড়িকে কবরস্থানের মতো বানিয়ে রেখো না। ঘরেও নামাজ পড়ো। নামাজ দিয়ে ঘরবাড়ি আবাদ রাখো। যার বাড়ি বা ফ্ল্যাট ছোট, নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রাখার সুযোগ নেই তার কোনো সমস্যা নেই। কারণ, বাড়িতে নামাজের জন্য আলাদা কোনো জায়গা রাখার বিধান ইসলামে নেই। সব পবিত্র জায়গায়ই নামাজ পড়া যায়। যারা আলাদা জায়গা রাখেন তাদের বাড়তি কোনো সওয়াব হবে না। যারা জায়গা রাখতে পারেন না, তাদের সওয়াব কমও হবে না। কারণ, ঘরে নামাজ পড়ার হুকুম আছে, কিন্তু আলাদা জায়গা নির্ধারণের হুকুম নেই। সম্ভব হলে ভালো, না হলেও ভালো।
প্রশ্ন : ঘুমানোর আগে এমন কি দোয়া পড়া যায় যে, ভালো স্বপ্ন দেখতে পারি? দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাওয়ার আমল কী করা যায়? দয়া করে বিস্তারিত বলবেন।
উত্তর : ঘুমানোর আগে এশার ফরজ, সুন্নত ও বেতের পড়বেন। রাতে বেশি দেরিতে ঘুমাতে যাবেন না। অজু না থাকলে ঘুমের আগে অজু করে নিন। সম্ভব হলে সূরায়ে মূলক তিলাওয়াত করুন। কিছু তাসবিহ-তাহলিল, দরুদ শরীফ পড়ে নিন। সূরায়ে ফাতিহা, চার কুল ইত্যাদিও পড়া ভালো। এরপর ডান কাত ও কিবলামুখী হয়ে ঘুমের দোয়া পড়ে শুয়ে পড়–ন। আয়াতুল কুরসি যদি সন্ধ্যায় পড়ে থাকেন ভালো, না পড়ে থাকলে ঘুমের আগে পড়ে নিন। সব শেষে মনে মনে আল্লাহর জিকির করতে করতে ঘুমে চলে যান। সুস্বপ্ন দেখতে পারেন, না হয় শান্তিদায়ক গভীর ঘুম হবে। দুঃস্বপ্ন আসবে না, যদি আসে তাহলে পাশ ফিরে শোন। আর কয়েকবার ‘লা হাওলা’ পড়ে নিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন