প্রশ্ন : আমি আমেরিকায় থাকি, নামাজের সঠিক ওয়াক্ত অনুযায়ী সবসময় নামাজ পড়তে পারি না। ওয়াক্ত পার হয়ে গেলে প্রায়ই ছেড়ে দেই। উত্তরণের উপায় কি?
উত্তর : সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন সঠিক ওয়াক্তে সবসময় নামাজ পড়ে নিতে। কারণ, নামাজের জন্যই আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। অন্যসব কাজ অর্থহীন হয়ে যাবে যদি নামাজ ঠিক না থাকে। ওয়াক্ত মতো পড়া না হলে অবশ্যই পরে পড়ে নিন। একদম ছেড়ে দেয়া ঠিক হচ্ছে না। নামাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরির জন্য তিনটি কাজ করুন। ১. হালাল উপার্জন, ২. গুনাহ ত্যাগ, ৩. আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের বিষয়ে চিন্তাভাবনা ও কৃতজ্ঞতাবোধ। উপরন্তু নেক মানুষের সঙ্গ গ্রহণ করুন। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দিন।
প্রশ্ন : হিজাব পরছি বেশ কয়েক বছর ধরে। কিন্তু করপোরেট অফিসে চাকরির সুবাদে সবসময় ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরতে হয়। আর আমি নিজেও জিন্স, টি-শার্ট পরে অভ্যস্ত। আমার কি গুনাহ হচ্ছে?
উত্তর : হিজাব পরছেন শুনে খুশি হলাম। তবে বাইরে বেরুবার সময় বা পর পুরুষের সামনে নিজের পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। এ জন্যই শালীন ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা জরুরি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস অফিসে জরুরি হলে এসবের ভেতর দিয়েও ফরজ পর্দা সেরে নেয়ার চেষ্টা করবেন। মাথা এবং বুক যেন যে কোনো কাপড়ে ভালোভাবে ঢাকা থাকে। যার নির্দেশ পবিত্র কোরআনে দেয়া হয়েছে। নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে গোনাহর আশঙ্কা থেকেই যায়। এ জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকবেন ও ত্রুটি থেকে থাকলে সংশোধন করে নেবেন। এমনিতে ঘরের ভেতর আপনি যখন শরিয়তসম্মত আপনজনদের মধ্যে থাকেন, তখন জিন্স, টি-শার্ট পরার সামান্য সুযোগ রয়েছে। যেমন- কামিজ-পাজামা, শাড়ি, মেক্সি, নাইটি আমাদের দেশের মেয়েরা ঘরে পরে থাকেন। অনেক আরব মেয়েরা ঘরে খুবই সংক্ষিপ্ত পোশাক পরে, কিন্তু যেখানে পর্দার হুকুম সেখানে তারা সারা শরীর খুব উত্তমরূপে ঢেকে বের হয়। বড় চাঁদর, গাউন, বোরকা, হিজাব ইত্যাদিতে তারা এতই আবৃত থাকে যে, তাদের পরনে জিন্স, টি-শার্ট বা অন্য কি আছে তা কারো বোঝার উপায় থাকে না। এখন আপনার জীবনশৈলীর সাথে আলোচনাটি মিলিয়ে দেখুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন