ঢাকার ধামরাই উপজেলায় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকা ও বিভিন্ন অভিযোগে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন ইটভাটাসহ ১০টি ইটভাটার মালিককে প্রায় ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যামাণ আদালত। সেই সাথে কয়েকটি ইটভাটার কিছু অংশ ভেক্যু দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধামরাই উপজেলার ডাউটিয়া ও জয়পুরা এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে ধামরাইর ওই এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় ও কৃষি জমির টপ সয়েল ব্যবহারের অভিযোগে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার আলীর মালিকাধীন আমেনা ব্রিকসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে পদ্মা ব্রিকসকে ৬ লাখ, এ আরএম ব্রিকসকে ৬ লাখ, হোসন ব্রিকসকে ৬ লাখ, কালামপুর ব্রিকসকে ৫ লাখ, আইরিন ব্রিকসকে ২ লাখ, ফারুক ব্রিকসকে ১ লাখ, এনবিসি ব্রিকসকে ১ লাখ, এসবি-১ ব্রিকসকে ১ লাখ ও এসবি-২ ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর জয়পুরা ও দেপাশাই এলাকায় নির্মাণ, ইউনিক, কাজলী, এনবিবি, সুপার ও এনবিসিসহ ৬টি ইটভাটার মালিকদের প্রত্যেককেই জরিমানা করা হয় ৬ লাখ টাকা করে ৩৬ লাখ। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জানা গেছে, ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ২/৩ ফসলি আবাদি কৃষি জমি, আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার এবং গ্রামীণ বা ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা থেকে অন্তত অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। অথচ রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে এ ধরনের নিয়ম ভঙ্গ করে স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ১৬০টি ইটের ভাটা।