ল্যাবে করোনা পরীক্ষা অব্যাহত রাখতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলমান করোনা ল্যাবে আরো একটি নতুন পিসিআর মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। পুরাতন মেশিনটিতে কোনো রকম যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলেও ল্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে স্থাপন করা হয়েছে এটি ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জিইবি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শাবিপ্রবির করোনা কার্যক্রমের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. শামছুল হক প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক ড. মো. শামছুল হক প্রধান বলেন, শুরুর দিকে প্রায় ২০০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলেও পরবর্তীতে করোনার ভয়াবহতা বাড়ার সাথে সাথে নমুনার সংখ্যাও দিন দিন বাড়তে শুরু করে। আমরা ৯ মাসে প্রায় ৩৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা করেছি। এরমধ্যে প্রায় ৭ হাজার নমুনা পজেটিভ পেয়েছি বাকি নমুনাগুলো নেগেটিভ এসেছে। ল্যাবে তখন আমাদের একটি পিসিআর মেশিন ছিলো। সেটিতে কোনো রকম যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলেও আমাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য আমরা আরো একটি মেশিনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার শুরু থেকেই নিজস্ব অর্থায়নে করোনা সনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আমরা এর মাধ্যমে সময়ের কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই সিলেটবাসীদের পাশে থেকে সাহায্য করতে পেরেছি। প্রথম অবস্থায় আমাদের ল্যাবে প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষার অনুমতি ছিল না। তবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর মেশিন নষ্ট হওয়ার পর আমরা তার অনুমতি পেয়ে সেগুলোও পরীক্ষা করেছি।
উপাচার্য বলেন, এই ল্যাবের মাধ্যমে আমরা যেমন মানুষের উপকার করেছি , একইভাবে আমাদের করোনা টিমের গবেষণাও চলছে। ইতোমধ্যেই তারা গবেষণা করে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স উন্মোচন করেছে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীতে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই সিলেটবাসীদের করোনা পরীক্ষা করতে নিজস্ব অর্থায়নে করোনা ল্যাব স্থাপন করে শাবিপ্রবি। গত বছর ১৮ মে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ল্যাবটির উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তার পরদিন থেকে এখন পর্যন্ত ল্যাবটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন