রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র ও আন্দোলন-সংগ্রামের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যস্থল যশোরের রাজনীতি ও সামাজিক নেতৃত্বে তিন বাল্য বন্ধু খালেদুর রহমান টিটো, তরিকুল ইসলাম ও আলী রেজা রাজু ছিলেন অত্যন্ত ঘনিষ্ট। ’৬০এর দশকে রাজনীতির অঙ্গনে একসাথে ছাত্র অবস্থায় তাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ। এরপর তারা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন। তিনজনই যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও এমপি ছিলেন। এর মধ্যে দুজন ছিলেন মন্ত্রী। গতকাল খালেদুর রহমান টিটোর ইন্তেকালে একে একে তিন বাল্যবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের ইতি হলো। ঘটলো উজ্বল তিন নক্ষত্রের পতন।
রাজনীতিতে তারা কখনো এক প্লাটফর্মে আবার কখনো বিপরীত মেরুতে ছিলেন। সম্পর্ক কখনো ঠান্ডা আবার কখনো গরম কখনো বা এক মোহনায় ঠেকেছেন। তারপরেও তাদের মধ্যে ছিল সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক। তারা ছিলেন যশোর জেলার রাজনীতির কান্ডারী ও ধারক-বাহক। এলাকার উন্নয়ন ও আমজনতার প্রত্যাশা পূরণের স্বার্থে তারা ছিলেন অনঢ় একাট্রা।
অনেকটা ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্কভাব বিরাজ করলেও সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি কখনো। রাজনৈতিক মতবিরোধ, সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতিতে তারা সবসময় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখেছেন। রাজনৈতিক সংস্কৃতি, শিষ্টাচার, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা লালনপালন করার ক্ষেত্রে তাদের বিরল দৃষ্টান্ত। বাল্যবন্ধুর মতোই তাদের অসম্ভব রকমের হৃদ্যতপূর্ণা সম্পর্কের ঘাটতি হয়নি কখনো। যশোরের রাজনৈতিক ও সামাজিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির প্রানের স্পন্দন ছিলেন টিটো, তরিকুল ও রাজু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন