ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সুসম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক উত্তোরত্তর আরো বৃদ্ধি পাবে। দালালদের অপতৎপরতায় সউদী আরবে মহিলা গৃহকর্মী প্রেরণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে উভয় দেশের ভাব-মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দালালদের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ সউদী দূতাবাসে ফিমেল ওয়ার্কার রিক্রুটিং এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফোরাব) সভাপতি আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল-দু’হাইলান এসব কথা বলেন। এসময়ে কনস্যুলার সা’দ আল শামারি এবং ফোরাবের সিনিয়র সহসভাপতি কে এম মোবারক উল্ল্যাহ (শিমুল) ও সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ফোরাব নেতৃবৃন্দের অনুরোধে ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাগজপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করতে সম্মত হন রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে ফোরাব সভাপতি সপ্তাহে দু’দিন অথবা ২৫ টির অধিক পুরুষ ভিসা জমা নেয়ার অনুরোধ জানান। এসময়ে রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমানে দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশন ভিসা কার্যক্রম ইস্যুতে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত অফিস করেন যা মোটেও মানবিক নয়। রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দু’হাইলান বলেন, করোনা মহামারির মাঝেও বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে রাজকীয় সউদী সরকার বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সউদী সরকার মহামারির এই সময়ে বাংলাদেশের মতো পার্শ্ববর্তী অন্য কোন দেশকে এমন গুরুত্ব দেয়নি। ডোমেস্টিক ওয়ার্কার পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি সউদী দূতাবাস অত্যন্ত আন্তরিকভাবে নজর রাখছে বলেও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে তিনি সকল রিক্রুটিং এজেন্সির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিদের শারীরিক দূরত্ব ও মাক্স পরিধানের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মেনে চলার অনুরোধ জানান। এছাড়াও আরো বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে যে কোনো সময়ে আলোচনা চালিয়ে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট জমা দেয়ার গত ১৭ জানুয়ারির নোটিশের শর্ত প্রত্যাহার করায় ফোরাব সভাপতি আব্দুল আলিম রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন